অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মহাসড়কে সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পরিবহণে তল্লাশী নয়-চট্টগ্রাম ডিআইজি

0
.

কারো বিরুদ্ধে, কোন পরিবহণের বিরুদ্ধে সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগ বা বাস্তব কোন প্রমাণ ছাড়া সড়কের উপর সিগনেল দিয়ে পরিবহণে তল্লাশী না করতে সংশ্লিষ্ট পুলিশের সকল কর্মকর্তাকে কঠোরভাবে হুশিয়ার করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ড. এস এম মনিরুজ্জামান।  শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের খুলশিস্থ নিজ কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

এসময় তিনি নগর জেলা ও আন্তঃজেলার মহাসড়কে কর্মরত সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ঈদ পর্যন্ত মহাসড়কে চলাচলরত সকল চালক ও হেলফারের সমস্যার কথা যেন মনোযোগ সহকারে শোনেন। তিনি বলেন, চালক বা হেলফারের সাথে দুব্যবহার না করে চালক,হেলফার কিংবা মালিক সমিতির কর্মকর্তাদের ফোন রিসিভ করে তাদের সমস্যার কথা শুনে সহায়তা করুণ। অন্যতায় কোন অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রমজান মাসে সড়ক মহাসড়কে যানজট নিরসনের লক্ষ্যে শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগের নগর জেলা আন্তঃজেলার পরিবহন মালিক শ্রমিক সকল সংগঠনের নের্তৃবৃন্দের সাথে প্রশাসনের এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় ডিআইজি ড. এস এম মনিরুজ্জামান গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মহাসড়কে যত্রতত্র গাড়ি দাড় করিয়ে রাখার ফলে অনাকাঙ্কিত,অনাহুত দুর্ঘটনাসহ হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকে, তাই এর পরিত্রাণ পেতে পরিবহন মালিক ও সকল সমিতির নের্তৃবৃন্দকে চালক ও হেলফারদের লাইন ডিসিপ্লিন মেনে সারিবদ্ধভাবে গাড়ি চালানোর জন্য বাধ্য করতে হবে। এছাড়াও পরিবহণে ওভারলোড না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি রাস্তাঘাটে কোন গাড়ি নষ্ট হলে সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট পুলিশকে অবহিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

রাস্তা নষ্ট হলে সওজের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের তত্বাবধানে তা দ্রুত মেরামতের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ডিআইজি মনিরুজ্জামান। এছাড়া রাস্তার উপর থেকে কোন ব্যাক্তিগত গাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয় এমন কোন পরিবহণ রিকুজিশন করা যাবে না জানিয়ে যদি বিশেষ প্রয়োজন হয় তাহলে যে জেলায় বা উপজেলায় গাড়ির প্রয়োজন হবে সংশ্লিষ্ট জেলার পরিবহন মালিক সমিতিকে জানাতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দেন তিনি।

এ সভায় তিনি পরিবহণ মালিক সমিতির প্রতি স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় আসবে না, কোন অবস্থাতেই ক্লান্ত শান্ত পরিশ্রান্ত চালকদের দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না। তিনি বলেন, ঈদ এবং রমজানকে সামনে রেখে বিভিন্ন গোষ্টি বিশেষ করে জঙ্গিবাদি সংগঠনের নেতা কর্মীরা পরিবহণে চড়েই এক জেলা থেকে অন্য জেলায় অপরাধ সংঘঠিত করার লক্ষ্য চষে বেড়ায়। চালক ও হেলফারদের কঠোর চাপ প্রয়োগ করে দেশ ও জাতীয় স্বার্থে তাদের খবরাখবর পুলিশকে জানাতে মালিক সমিতির নেতাদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন ডিআইজি। কোন মাদক ব্যবসায়ি কিংবা পরিবহণে মাদক বহণ করার চেষ্টা করলেও বিষয়টি তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানান। এতে যাত্রীরা হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পাবে। মহাসড়কেও তল্লাশীর নামে যানজট সৃষ্টি হবে না।

মতবিনিময় সভায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্কেলের ওজন মাপার নামে পণ্য বোঝাই পরিবহনের হয়রানির অভিযোগ এনে আগামী ঈদ পর্যন্ত মহাসড়ক হতে ওজন স্কেল তুলে দেওয়ার জন্য জোর আবেদন জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের আন্তঃ জেলা সকল পরিবহণ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা। এছাড়া যানজটের কারণ হিসেবে প্রশাসনের কিছু গাফিলতির কথাও তুলে ধরেছেন।

মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম নগর, জেলা ও বিভাগের ট্রাফিক পুলিশের উদ্ধতন কর্মকর্তা, হাইওয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগের সকল পরিবহণ মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।