অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

দুই পদের কোকোনাট পুডিং

0

নারিকেল আমাদের অনেক প্রিয় একটি খাবার। ডাবের পানি, কোড়া নারিকেল, নারিকেলের তৈরি বিভিন্ন রকম ঝাল ও মিষ্টি জাতীয় রান্না সব কিছুই মজাদার। মিষ্টি জাতীয় খাবারের মাঝে আজ আমরা আপনাকে জানাব ভিন্ন স্বাদের দুটি পুডিং এর রেসিপি— ডাবের পানির পুডিং ও কোকোনাট। পুডিং আসুন তাহলে জেনে নেই রেসিপি দুটি।

ডাবের পানির পুডিং

উপকরণ :

ডাবের পানি ৩ কাপ

ডাবের নরম শাঁস ফালি করে কাটা ইচ্ছা মতো

চিনি ১ টেবিল চামচ বা আপনার ইচ্ছা মতো

চানা গ্রাস (আগার আগার) ১০ গ্রাম

প্রণালী:

-চায়না গ্রাস কুচি কুচি করে কেটে ১/২ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট।

-তারপর পানিসহ চুলায় বসিয়ে দিন অল্প আঁচে। নেড়ে গলিয়ে নিন।

-আরেকটি পাত্রে ডাবের পানি ও চিনি এক সাথে গরম করুন।

-গরম হলেই গলিত চায়না গ্রাস ঢেলে দিন এবং নাড়তে থাকুন।

-পুরো চায়না গ্রাসটা ডাবের পানির সাথে মিশে গেলে নামিয়ে নিন।

-এবার গোলাকার পাত্র নিন পুডিং জমাবার জন্য। আগে থেকেই পাত্রে নারকেলের শাঁস সাজিয়ে রাখুন।

-এবার ডাবের পানির মিশ্রণটি ঢেলে দিন।

-একটু ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রেখে দিন জমার জন্য।

-২ ঘণ্টা পর সাবধানে উল্টে পরিবেশন করুন।

কোকোনাট পুডিং

উপকরণ:

ডিম ৬টি

কনডেন্সড মিল্ক ১ টিন

দুধ ৩ কাপ

কর্নস্টার্চ ২ টেবিল-চামচ

কোরানো নারিকেল ৪ টেবিল-চামচ

চিনি আধা কাপ (স্বাদ অনুযায়ী)

প্রণালী:

একটি পাত্রে আধা কাপ চিনি নিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিন। যখন গলে যেতে থাকবে নাড়তে থাকুন। বাদামি রং হলে যে পাত্রে পুডিং বানাবেন তাতে ক্যারামেল ঢেলে চারদিকে ছড়িয়ে দিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। ইচ্ছা হলে কিছুক্ষণ ফ্রিজারে রাখতে পারেন।

ব্লেন্ডার বা এগ বিটার দিয়ে কনডেন্সড মিল্ক, দুধ ও ডিম দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন। সঙ্গে আবার কর্নস্টার্চ ও নারিকেল দিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে।

মিশ্রণটি ক্যারামেলের পাত্রে আস্তে ঢেলে দিন। পাত্রটি একটু উপর থেকে সমতল জায়গায় ছাড়ুন যাতে বুদবুদগুলো (এয়ার আউট) মিশে যায়।

ওভেনে তৈরির পদ্ধতি : একটি বড় ট্রেতে এমনভাবে পানি ঢালুন যাতে পুডিংয়ের বাটি অর্ধেক ডুবে থাকে পানিতে।

ওভেনে ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা দিয়ে এক ঘণ্টা বা ভিতরে জমে যাওয়া পর্যন্ত বেইক করতে থাকুন। খেয়াল রাখবেন যদি উপরে বেশি খয়েরি রং হয়ে যায়, ফয়েল পেপার দিয়ে ঢেকে দিতে হবে অথবা ওভেনের তাপ কিছুটা কমিয়ে দিতে হবে।

চুলায় তৈরির পদ্ধতি : পুডিং প্যানটি বসানো যায়, এমন একটি পর্যাপ্ত বড় সসপ্যান নিন এবং এতে গরম পানি নিন। সসপ্যানে ততটুকু পরিমাণ পানি নিন যতটুকু পানির মাঝে আপনার পুডিং প্যানটি বসালে প্যানটির অর্ধেক মতো পানিতে ডুবে থাকবে এবং প্যান পানিতে ভাসবে না।

প্যান পানির মাঝে সঠিকভাবে বসানোর জন্য চাইলে একটি স্ট্যান্ড ব্যবহার করতে পারেন বা পাতলা তোয়ালে বিছিয়ে তার উপর বসাতে পারেন। এতে চুলার তাপ সরাসরি পুডিংয়ে লাগে না।

এবার পুডিং প্যানটি সসপ্যানের মাঝে বসিয়ে দুটি প্যানই ঢেকে দিন এবং ৪৫ মিনিট চুলায় রাখতে হবে। মাঝে মাঝে সস প্যানের পানি দেখে নিন। প্রয়োজনে আরো পানি যোগ করুন।

একটি টুথপিক দিয়ে পুডিং হয়েছে কিনা দেখুন। টুথপিক পুডিংয়ের মাঝে হালকা করে ঢোকান। যদি টুথপিক পরিষ্কার বের হয়ে আসে, তাহলে পুডিং তৈরি হয়ে গেছে। আর যদি টুথপিকে আঠালো ডিমের মিশ্রণ লেগে থাকে তাহলে পুডিংটি আরও পাঁচ থেকে ১০ মিনিটের জন্য চুলায় রেখে দিন এবং একইভাবে টুথপিক দিয়ে পরীক্ষা করুন।

পুডিং তৈরি হয়ে গেলে তা ঠাণ্ডা করে নিন। ফ্রিজে রাখুন। ফ্রিজ থেকে বের করে সাবধানে প্যানের প্রান্ত বরাবর পুরো পুডিংয়ের চারপাশে ছুরি দিয়ে পুডিংটি আলাদা করে নিন। তারপর প্যানের উপর একটি প্লেট বসিয়ে,প্যানটি প্লেটটির উপর উল্টিয়ে পুডিংটি প্লেটে নিয়ে নিন। পরিবেশন করুন।