অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ইফতারে স্বাস্থ্যকর ফল নাশপাতি

0

রসালো বিদেশি ফল হলো নাশপাতি। কিন্তু আমাদের দেশেও এই ফলটি প্রর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। নাশপাতি সাধারণত রসালো তবে গাছে থাকা অবস্থায় ভালভাবে পাকে না। আর এ ফলের ৮৩ শতাংশই পানিতে পরিপূর্ণ। এই ফলটি সবুজ অথবা লালচে প্রকৃতির হয়ে থাকে।

পৃথিবীতে ৪ হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে নাশপাতি উৎপাদিত হলেও সম্প্রতি এর খাদ্যগুণ দৃষ্টি কেড়েছে সবার। নাশপাতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, বি ২, ই, ফলিক অ্যাসিড ও নিয়াসিন নামের পুষ্টিকর উপাদান। ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার, আয়রনসহ অন্যান্য মিনারেলেরও উৎকৃষ্ট উৎস। শুধু তাই নয়, নাশপাতিতে চর্বি এবং ক্যালোরির পরিমাণ অত্যন্ত কম এবং আঁশ, এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।

জেনে নিন নাশপাতির স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী-

হাড়ের ক্ষয়রোধ করে:
উচ্চমাত্রায় মিনারেল থাকার কারণে নাশপাতি দেহে ক্যালসিয়ামের যোগান দেয়। এটি হরমোন উৎপাদন এবং হাড়ের ক্ষয়রোধ করে। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানের ১০ শতাংশ নাশপাতিতে বিদ্যমান। এ ছাড়াও নাশপাতিতে আছে হাড়ের জন্য অত্যাবশ্যকীয় ভিটামিন ‘কে’।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নাশপাতির জুড়ি নেই। সন্ধ্যায় বা রাতে খাওয়ার পর নাশপাতি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

হৃদরোগে:
করোনারি থ্রম্বোসিস, হার্ট ব্লক, মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্যাকশন ইত্যাদি রোগে প্রতিদিন ২-৩ টুকরো নাশপতি খেলে খুবই উপকার হয়। এতগুণের নাশপাতিকে তাহলে আর আজ থেকে দূরে রাখা নয়। আজই যুক্ত করে নিন আপনার খাদ্য তালিকায়। সুস্থ্য থাকুন, ভালো থাকুন।

ফুসফুস চিকিৎসায়:
চীনে ফুসফুসের চিকিৎসায় নাশপাতি ব্যবহৃত হয়। নাশপাতির জুস গলা পিচ্ছিল করে, কফ এবং ভাইরাল সংক্রমণ কমায়।

মাড়ির ক্ষয় পূরণ করে:
এছাড়াও দাঁতের মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে নাশপাতির রস ও অল্প ফিটকিরি মিশিয়ে রেখে সকালে খেলে মাড়ির ক্ষয় পূরণ হয়।

ওজন কমাতে সহায়ত:
নাশপাতিতে আছে ৬ গ্রাম সলিউবল ফাইবার, যা আপনার কোলেস্টেরল কমায় ও আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে।

খুশকি ও চুল পড়া:
খুশকি ও পেটের পীড়ার কারণে মাথার চুল পড়ে গেলে সিকি কাপ নাশপাতির রস ২ সপ্তাহ খেলে চুল পড়া ও খুশকি দূর হয়।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে:
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে ও রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

এছাড়াও রাত জাগতে সাহায্য করে নাশপাতি, পানীয় হিসেবে খেয়ে নিতে পারেন এক গ্লাস নাশপাতির জুস। সারারাত না ঘুমালেও সকালে থাকবেন একেবারে চনমনে।