হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক, ইসলামী ছাত্রসমাজের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেছেন, রমজানের রোজা একটি ফরজ এবাদত। রোজার মাধ্যমে সংযম সাধনার লক্ষ্যই হলো তাকওয়া অর্জন। রমাজানে ইবাদতের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টি র্অজন করতে সক্ষম হয়। রমজান হলো বরকতময়, কল্যাণময়, অফুরন্ত রহমতের মাস।পবিত্র রমজান তাকওয়া অর্জন ও মুত্তাকী হওয়ার মাস। মুমিনগণ রোজা রেখে হিংসা, বিদ্বেষ, দুর্নীতি, মিথ্যা, জুলুম, নির্যাতন, চুগলখোরী, অযথা আলোচনা, বেহায়াপনা, অন্যায় কাজসহ সব রকম পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করে। তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে মাদক অপরাধমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত আদর্শ সমাজ গঠন সম্ভব। তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে খোদাভীরু নেতৃত্ব তৈরী হয়। ইসলামী ছাত্রসমাজ হলো যোগ্য, আদর্শবান, খোদাভীরু নেতৃত্ব সৃষ্টির অনন্য প্লাটফরম।
তিনি আরো বলেন, আজ খোদাদ্রোহী নাস্তিক্যবাদী অপশক্তি বিশ্বময় ইসলামের বিরুদ্ধে বহুমুখী চক্রান্ত চালাচ্ছে। বাতিল শক্তির মোকাবিলায় রমযানের মহান শিক্ষায় ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।
তিনি ৯ জুন, শনিবার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজ চট্টগ্রাম মহানগর শাখা আয়োজিত “মাহে রমযানের তাৎপর্য” শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
নগরীর চকবাজারস্থ একটি হোটেলে আয়োজিত এ মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন নগর সভাপতি মুহাম্মদ ওয়াহিদুল্লাহ। আখেরী দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন, নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা সরোয়ার কামাল আজিজী।
মাওলানা সরোয়ার কামাল আজিজী বলেন, মাহে রমযান তাকওয়া অর্জনের মাস। মহিমান্বিত এ মাসের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে তাকওয়ার গুণাবলীসম্পন্ন আদর্শ নাগরিক গড়ার লক্ষ্যে ইসলামী ছাত্রসমাজ অবিরাম প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
পবিত্র এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম চৌধুরী, নেজামে ইসলাম পার্টি নেতা মাওলানা নুর মোহাম্মদ খিলী, মাওলানা আবদুল আলীম নিজামী, মাওলানা নুরুল আলম চৌধুরী, মাওলানা শোয়াইব চৌধিরী, মাওলানা মোহাম্মদ হারুন, ইসলামী ছাত্রসমাজের সাবেক সহকারী মহাসচিব মাওলানা আতিকুর রহমান সিদ্দিকী, মোহাম্মদ আরশাদ, নগর সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ছুট্টু, সাবেক ছাত্রনেতা মওলানা সগীর আহমদ চৌধুরী।
নগর সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ তানভীর সিরাজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নগর সাধারণ সম্পাদক ঈসা মুহাম্মদ হাসেমী। মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা মাহমুদুল করিম কাসেমী, মাওলানা নুর মোহাম্মদ, মাওলানা নুরুল আলম, মাওলানা রিজওয়ান।