অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

গরমে সুস্থ ও সতেজ থাকার উপায়

0

গ্রীষ্মকালে তীব্র তাপে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। ভ্যাপসা গরমের দিনে যে কোনো মুহূর্তে অসুস্থ হয়ে পড়াটা অস্বাভাবিক নয়। পরিবেশের তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে। তাই এ সময় কেউ যদি নিজের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখার কৌশল আয়ত্ত করতে পারেন, তাহলে অসুস্থতার হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

# শরীরের পানিশূন্যতা রোধ করুন। দুঃসহ গরমে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় প্রচুর পরিমাণে পানি। তার সঙ্গে বেরিয়ে যায় লবণ। সেই পানিশূন্যতা দূর করতে স্বাভাবিকের বেশি পানি বা পানীয় পান করতে হবে। শরীরে পানি আর লবণের অভাব হলে মাংসপেশি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। শরীর আর্দ্র রাখতে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন। তাই বোতল বা ফ্লাস্কে পানি মজুদ রাখুন।

# তরল খাবার বেশি করে খেতে হবে। স্যুপ, এনার্জি ড্রিঙ্ক, মিল্কশেক ও ফলের রস সেবন করুন। সবজির সালাদ বাদ দেবেন না। শরীর থেকে ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাচ্ছে লবণ। প্রয়োজনে খাবার স্যালাইন খান। ডাবের পানি, তরমুজ এবং পানি জাতীয় ফল রাখুন খাবার তালিকায়?

# পোশাক পরুন হালকা রঙের। এই গরমে গাঢ় রঙের পোশাক না পরাই ভালো। গাঢ় রঙের পোশাক রোদ শোষণ করে বলে গরম অনুভূত হয় বেশি। কিন্তু হালকা রঙের পোশাক রোদ যতটুকু না শোষণ করে তার চেয়ে অধিক মাত্রায় বিকিরণ করে। গরমে সিনথেটিক পোশাক কখনোই পরবেন না। সব সময় সুতি ও ঢিলা পোশাক পরার চেষ্টা করুন।

# পরিশ্রমের মাত্রা কমিয়ে আনুন। গরমে মাত্রাধিক ব্যায়াম করলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তবে শারীরিক ফিটনেস বজায় রাখতে সীমিত মাত্রার ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। খুব ভোরে হেঁটে আসুন খোলা বাতাসে কিংবা সাঁতার কাটুন কিছুক্ষণ।

# অফিসের পরিবেশ হোক স্বাস্থ্যসম্মত। কাচের ঘরে ঘেরা অফিসের একটি নন্দনগত দিক রয়েছে সত্য। তবে তা থেকে আপনি বিশেষ উপকৃত হতে পারছেন না। যেসব অফিস বা কর্মস্থল কাচে ঘেরা সেখানে সূর্যালোকের শোষণ হয় বেশি। ফলে ঘরের তাপমাত্রা বাইরের চেয়েও বেড়ে যায় দ্বিগুণ পরিমাণে।

# পরিত্যাগ করুন চা, কফি ও অ্যালকোহল। গরমের অত্যাচার থেকে নিজেকে বাঁচাতে পান করবেন না চা, কফি বা অ্যালকোহল। এগুলো বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে আপনার শরীরে। বাড়িয়ে দেবে বেশি করে পানিশূন্যতা। তৃষ্ণা মেটাতে শুধুমাত্র পানি পান করুন।

# হিউমিডিফায়ার রাখুন প্রয়োজনে। বাতাসের আর্দ্রতা এখন থাকে ৯০-এর ঘরে। যাদের ঘরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই, কম খরচের আর্দ্রতা নিরোধক হিউমিডিফায়ার এ সময় ভালো কাজ দিতে পারে।

# সূর্যের আলো এড়িয়ে চলুন। চেষ্টা করুন ছায়ার মধ্য দিয়ে চলতে। রোদে গেলে মাথায় রাখুন চওড়া ক্যাপ, স্কার্ফ অথবা ছাতা। রিকশায় চড়লে হুড উঠিয়ে চলুন। ত্বকে মেখে চলুন সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন। রোদে বাইরে বেরোলেই সানগ্লাস পরে বের হবেন।

# গোসল করুন একাধিক বার। পুকুরে বা সুইমিং পুলে ডুব দেয়া সবার পক্ষে সম্ভব নয়। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি বাথটাবের ঠাণ্ডা জলে কিছুক্ষণ শরীর ভিজিয়ে রাখেন। সম্ভব হলে দিনে একাধিকবার গোসল করুন। তবে যাদের সর্দি-কাশির সমস্যা আছে, তারা এ বিষয়ে সতর্ক হোন। শরীরে তেল জাতীয় কিছু মাখবেন না।

# ফ্যানের ব্যবহার পরিবর্তন করুন। সিলিং ফ্যানের পরিবর্তে টেবিল ফ্যান বা ওয়াল ফ্যান ব্যবহার করুন। ঘরের মধ্যে বাতাস পরিবহন বা চলাচল এতে সহজতর এবং কার্যকর হয়ে উঠবে।