অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সীতাকুণ্ডে ৯ ত্রিপুরা শিশু মৃত্যুর এক বছরেও মেলেনি সরকারী প্রতিশ্রুতি

0
.

প্রতিশ্রুতির একবছরও তেমন কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি সীতাকুণ্ডের বহু আলোাচিত সোনাইছড়ির সেই ত্রিপুরা পাড়ার নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত উপজাতি বাসিন্দরা। সরকারের পক্ষ থেকে এসব সুবিধা বঞ্চিত উপজাতিদের জন্য যেসব সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল তার কোনটাই বাস্তবায়ন হয়নি।।  বিশেষ করে সুপ্রেয় নিরাপদ পানি, রাস্তা মেরামত, শিশুদের জন্য স্কুল, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নির্মাণ এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার কথা ছিল সেসব কিছুই হয়নি গত এক বছরেও।

গত বছরের ১৩ জুলাই উপজেলার সোনাইছড়ি ত্রিপুরা পাড়ায় হামে আক্রান্ত হয়ে ৯ শিশু মারা যায় এবং আক্রান্ত হয় আরও ১৬০ জন। ঘটনাটি সারাদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। সেই ঘটনার এক বছর অতিবাহিত হলো আজ। সেই সময়ে দূর্গম এই পাহাড়ী এলাকায় সরকারী-বেসরকারী, বিভিন্ন এনজিও সংস্হার ব্যক্তিদের আগমন ঘটে। কিন্তু এ ঘটনার ঠিক এক বছর পার হলেও একটি স্কুল ও একটি ক্লিনিক ছাড়া প্রতিশ্রুতির আর কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি।

ঐ সময়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, স্হানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও সহ সবাই এই ত্রিপুরা বাসিন্দাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সরকারের পক্ষ আশ্বস দিয়েছিলেন।

তৎকালিন জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান ত্রিপুরা পাড়ার আদিবাসীদের জন্য এখানে ১০ টি টিউবওয়েল, ৩টি গভীর নলকুপ স্হাপন, স্বাস্হ্য সন্মত টয়লেট নির্মাণ, বিদ্যুৎতের ব্যবস্হ্যা, স্কুল নির্মান করার ঘোষণা দেন কিন্তু এক বছর পরও এ ঘোষণার বাস্তবায়ন হয়নি।

.

ত্রিপুরা পাড়ায় সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, তারা আগের মতোই খালের নোংরা পানি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছে। এই পানিতে গোসল, কাপড়-চোপড়, থালা বাসন ধৌত করছে।  একটি নলকুপ দেওয়া হয়েছে সেটাতে পানি উঠে না, রাস্তা নির্মাণের কথা ছিল হয়নি কাজ, তবে কিছুদিন আগের থেকে এখানে একটি স্কুল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

.

এব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তারিকুল আলম বলেন, ত্রিপুড়া বাসিন্দাদের জন্য সরকার ১৯ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দিয়েছেন এছাড়া শিশুদেরকে বই দেওয়া হয়েছে, উপবৃত্তি দেওয়া হয়েছে।  আর খাস জায়গা পাওয়া না যাওয়ায় তাদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা যায়নি।

এদিকে উক্ত এলাকার ত্রিপুরা বাসিন্দাদের নিজস্ব কোন জায়গা না থাকায় অন্যের জায়গাতে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বসবাস করছে।

.

ত্রিপুরা পাড়ার কাঞ্চন ত্রিপুরা জানালেন, আমাদের বসবাসের ঘরগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরও মেরামত করতে দিচ্ছে না পাহাড়ের মালিক, যার ফলে আমাদের নিদারুণ কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।  গত বছর আমাদের জন্য ঘর বানিয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়ার কথা বলা হলেও আমরা কিছুই পায়নি।