অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

‘হাজারো শ্রমিক হত্যার পরও বিচার হয় না রানাদের’

0

চট্টগ্রাম: যুবলীগ করার কারণে ১ হাজার ২০০ শ্রমিক হত্যার পরও রানা প্লাজার মালিক রানার সর্বোচ্চ বিচার হয় না বলে অভিযোগ করেছেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা.শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, ১ হাজার ২০০ শ্রমিক হত্যার পাশাপাশি আরও ১ হাজার ২০০ শ্রমিক পঙ্গু হয়েছে। এরপরও রানার সর্বোচ্চ বিচার ফাঁসি দেওয়া হয়নি। এতগুলো মানুষ হত্যার পরও রানার ফাঁসি হচ্ছে না কেন তা জাতির কাছে এখন স্পষ্ট। কারণ তিনি সরকার দলীয় লোক।

‘রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় হতাহতদের পুনর্বাসনে ১২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ কোটি টাকা খরচ করা হলেও বাকি ১০০ কোটি টাকার হদিস নেই। জাতি এই টাকার হিসাব চায়।’

সোমবার নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মহান মে দিবস উপলক্ষে নগর শ্রমিকদল এ সমাবেশের আয়োজন করে।

ডা.শাহাদাত বলেন, ১৮৮৬ সালের ১মে শিকাগো শহরে অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমেছিলেন শ্রমিকরা। আন্দোলনের ফসল হিসেবে আজ ইউরোপে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলেও আমাদের দেশে এখনো পর্যন্ত শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

বর্তমান সরকারের আমলে রানা প্লাজা ধসে হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক হতাহত হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাদের পরিবারকে পুনর্বাসন করতে পারেনি। এমনকি চিকিৎসার অভাবে অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। ফলে তাদের পরিবারে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার।

অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও অর্থের অভাবে দেশের শিল্পকারখানা ও গার্মেন্টস শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফলে হাজার হাজার শ্রমিক ছাটাই, চাকরিচ্যুত ও বেকারত্ব বরণ করছে। মেহনতী মানুষের কায়িক শ্রমের মাধ্যমে শিল্পখাত থেকে বৈদেশিক রেমিটেন্স অর্জন করলেও সরকার ঠিকমত শ্রমিকের বেতন-বোনাস দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ন্যায্য অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হতে হবে। প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে অধিকার আদায় করতে হবে। মেহনতী মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত এবং দেশের বাক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

নগর শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে নগর বিএনপির সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, নগর শ্রমিক দলের উপদেষ্টা শ্রমিক নেতা সামশুল আলম, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন লিপু, কামরুল ইসলাম, এ কে এম পেয়ারু, তৌহিদুস সালাম নিশাদ, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ ইউনুচ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।