অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

র‌্যাবে’র সাবেক অধিনায়ক লে. ক. হাসিনুর রহমান তুলে নেয়ার অভিযোগ

0
.

র‌্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমানকে (অবঃ) ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেছে তার পরিবার।  বুধবার রাতে রাজধানীর পল্লবীতে নিজ বাসার সামনে থেকে তাকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নেয়া হয় বলে জানা গেছে।

তবে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছুই জানাতে পারেননি পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম। জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসিনুর রহমান তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। সেটি যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। আমি যতটুকু শুনেছি তার সঙ্গে পূর্বে জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ছিলো। এসব বিষয়ও তদন্ত করা হচ্ছে।

তাকে তুলে নেয়ার বিষয়টি ডিবি পুলিশও অস্বীকার করেছে। হাসিনুর রহমান ২০১০ সালে চট্টগ্রামে র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক ছিলেন। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার জের ধরে তাকে ওই সময় আটক করা হয়। পরে মাতৃবাহিনীতে ফেরত দেয়ার পর তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

হাসিনুর রহমানের স্ত্রী শামীমা রহমানের অভিযোগ, রাত ১০ টা ২০ মিনিটের দিকে বাসার সামনে থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চার/পাঁচজন একটি মাইক্রোবাস থেকে নেমে তাকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় হাসিনুর রহমান চিৎকার করলে তাদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে তারা হাসিনুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়। পরে পল্লবী থানায় গেলে এ সংক্রান্ত কোনো জিডি নেয়নি পুলিশ।

পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় তারা হাসিনুর রহমানের ব্যবহৃত লাইসেন্সকৃত পিস্তলটি উদ্ধার করেন।

সূত্র জানায়, হাসিনুর রহমানের শ্যালিকা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। ওই সময় তার শ্যালিকা হিজবুত তাহরীরের নারী ইউনিটের একজন শীর্ষস্থানীয় নেত্রী ছিলেন। ২০০৯ সালের অক্টোবরে হিজবুত তাহরীর নিষিদ্ধ ঘোষণার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র শিক্ষক ও হিজবুহ তাহরীরের উপদেষ্টা গোলাম মহিউদ্দিন গ্রেফতার হন। তার জবানবন্দী থেকেই হাসিনুর রহমানের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া যায়। তখন হাসিনুর রহমান র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক ছিলেন। র‌্যাবের হাতে হিজবুত তাহরীরের বেশ কয়েকজন সদস্য আটক হওয়ার পর র‌্যাবও নিশ্চিত হয় হাসিনুর রহমানের সাথে হিজবুত তাহরীরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ২০১১ সালের প্রথম দিকে তাকে র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখায় ডেকে পাঠানো হয়। সেসময় গোয়েন্দা শাখার প্রধান ছিলেন লে. ক. জিয়াউল আহসান। তিনি সাংবাদিকদের কাছে হাসিনুর রহমানের হিজবুহ তাহরীর সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করে। এরপরেই তাকে র‌্যাব-৭ থেকে অব্যাহতি মাতৃবাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়।