অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

হত্যা নয়, পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাসফিয়ার!

0
.

চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিনকে কেউ হত্যা করেনি।! তাসফিয়ার পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে বলে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়েছে হত্যা মামলার তদন্ত সংস্থা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

৫ মাসের মাথায় আজ রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওসমান গণির আদালতে স্কুল ছাত্রী তাসফিয়া আমিন হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিল করা হলে তা প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিকালে আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় তাসফিয়া আমিন হত্যা মামলার তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে ডিবি পু্লিশ তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি’র এস আই স্বপন কুমার সরকার। এতে উল্লেখ করা হয়েছে তাসফিয়া হত্যার কারণ “পানিতে ডুবে মৃত্যু”।

তদন্তে বলা হয় মামলাটি তদন্তকালে ৬ জন প্রত্যক্ষদর্শীসহ মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। এছাড়া ময়নাতদন্তের ভিসেরা রিপোর্টেও তাসফিয়ার মৃত্যু পানিতে ডুবে হয়েছে বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে।

সিএমপি অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোয়েন্দা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ঐ খানের প্রত্যক্ষ ১৬ জন সাক্ষী আমরা বক্তব্য নেই। তাদের সাক্ষ্য এবং ময়না তদন্তের রিপোর্ট সব কিছু মিলিয়ে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই তাসফিয়া পানিতে ডুবে আত্মহত্যা করেছে।’

তবে গোয়েন্দা পুলিশের ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আদালতে নারাজি দেয়ার কথা জানিয়েছে নিহত স্কুল শিক্ষার্থী তাসফিয়ার পরিবার।

নিহত তাসফিয়ার মা নাঈমা খানম বলেন, ‘আমার মেয়ের আত্মহত্যা করেনি। তার আত্মহত্যার করার তো কোনো কারন নেই।’

উল্লেখ্য চলতি বছরের ২ মে নগরীর পতেঙ্গা নেভাল এলাকা থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসফিয়া আমিনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানায়। এর আগের দিন বন্ধুর সাথে বেড়াতে বের হয়ে নিখোঁজ হয় তাসফিয়া।

এ ঘটনায় তাসফিয়ার বাবা বাদী হয়ে, তাসফিয়ার বন্ধু আদনান মির্জাসহ ৬ জনকে আসামি করে পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আদনানসহ ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়া ফিরোজ নামের আরেক আসামি আদালতে আত্মসমর্পন করে।