অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

২১ আগস্ট মামলার রায় ১০ অক্টোবর

0
.

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলার রায়ের জন্য ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার দুপুরে যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন এই দিন ধার্য করেন।

সেই সাথে আট আসামির জামিন বাতিল করে অবিলম্বে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ জারি করেছে আদালত।

এর আগে গত ১২ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক খণ্ডন শেষে আবেদনের শুনানির জন্য আদালত ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিল।

গত ২৩ অক্টোবর রাজধানীতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলায় ট্রাইব্যুনালের কাছে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করে রাষ্ট্রপক্ষ।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান।

অল্পের জন্য বেঁচে যান বতর্মান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তবে গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দে তার শ্রবণশক্তি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ হামলায় তিন শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।

গ্রেনেড হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুটি মামলা করা হয়। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের অধীনে একটি এবং হত্যার জন্য আরেকটি মামলা।

২০০৮ সালের ১১ জুন, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এই মামলায় ২২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়।

২০১০ সালের ২১ আগস্ট, আদালত রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে গ্রেনেড হামলার ঘটনার আরো তদন্তের নির্দেশ দেয়।

২১ আগস্ট ঘটনায় পৃথক মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান,সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামন বাবরসহ মোট আসামির সংখ্যা ৫২ জন।

এর মধ্যে তিনজন আসামির অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তারা হলেন, জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও শরীফ সাহেদুল আলম বিপুল। এখন ৪৯ আসামির বিচার চলছে। এর মধ্যে বিএনপি নেতা তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরীসহ ১৮ জন পলাতক। লুৎফুজ্জামান বাবর, আবদুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন আসামি কারাগারে এবং আট জন জামিনে রয়েছেন।