অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আবোল তাবোল প্রলাপ বকছে আওয়ামী লীগ-ডা. শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আবোল তাবোল প্রলাপ বকছে। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একদলীয় ফ্যাসিস্ট কায়দায় দেশ শাসন করছে। একের পর এক কালো আইন তৈরি করে জনগণের কণ্ঠরোধ করছে। ডিজিটাল আইনের নামে কালো আইন পাশ করে ক্ষমতাকে আবারো কুক্ষিগত করার পায়তারা করছে।

তিনি আজ সোমবার বিকালে চকবাজার, বাকলিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং যুবদলের নয়জন নেতাকর্মীদের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করলে তাৎক্ষনাথ কোর্ট হিল চত্ত্বরে প্রতিক্রিয়া উপরোক্ত কথা বলেন।

শাহাদাত বলেন-সাধারণ কোন মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই। বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা গায়েবী মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারের পরোয়ানা জারী করছে। কিন্তু কোন মামলা হামলা নির্যাতন করে বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দেলনকে দমিয়ে রাখা যাবে না। সরকারের সময় যতই শেষ হয়ে যাচ্ছে ততই তাদের পায়ের তলার মাঠি সরে যাচ্ছে। আজকে পুরো দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, এস.কে সিনহার “এ ব্রোকেন ড্রীম” বইয়ের মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে এই সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক কর্মকান্ড। দেশে আইনের শাসন নেই তা সাবেক প্রধান বিচারপতি নিজেই তার বইতে স্বীকার করেছেন। আদালতের ঘাড়ে বন্ধুক রেখে আবারো যে ক্ষমতায় আসার যে স্বপ্ন দেখছে সরকার। তাই বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করিয়ে কারাগারে প্রেরণ করছে। তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের জেল হাজতে প্রেরণের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবী করেন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনিপর সহ-সভাপতি এডভোকেট মফিজুল হক ভূইয়া, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা শামশুল হক, নগর বিএনিপর সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম স্বপন, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক নেজাম উদ্দীন, বাকলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আফতাবুর রহমান শাহীন, নগর স্বেচ্ছা সেবক দলের সাংগঠনিক সম্পদাক জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ।

উল্লেখ্য, চকবাজার থানায় দায়ের কৃত ২ (৮) ২০১৮ইং তারিখের একটি মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন শেষে অদ্য তারিখে মহানগর দায়রা জজে আত্মসমর্পন করলে তাদেরকে (নয়জনকে) আদালতে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। জেলে প্রেরণকৃত নেতা ১) নুরুল আলম শিপু (সভাপতি, চকবাজার থানা), ২) মুস্তাকিম মাহমুদ (সাধারণ সম্পাদক, বাকলিয়া থানা), ৩) সাদ্দামুল হক (সাধারণ সম্পাদক চকবাজার থানা), ৪) মোহাম্মদ সেলিম, ৫) মোহাম্মদ আলম, ৬) মোহাম্মদ করিম, ৭) মোহাম্মদ বাবুল, ৮) মোহাম্মদ সোহেল, ৯) মোহাম্মদ নয়ন।