অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মাদক সেবন, বহন, মদদদান ও পৃষ্টপোষকতায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড

0
.

ইয়াবা, কোকেন, হিরোইন ও কোকা জাতীয় মাদ্রকদ্রব্য বহন, সেবন, বিপণন, মদতদান ও পৃষ্টপোষকতায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০১৮-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (৮ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত সভায় এ আইনের অনুমোদন দেওয়া হয়।

পরে দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এক ব্রিফিংয়ে বলেন, কারও কাছে ২৫ গ্রামের কম হোরাইন, কোকেন ও কোকা জাতীয় মাদক পাওয়া গেলে তাকে সর্বনিম্ন দুই বছর ও সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া যাবে। অার এসব মাদকের পরিমাণ ২৫ গ্রামের বেশি হলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া যাবে।

এর বাইরে ৪০০ গ্রামের বেশি ইয়াবা বহন, সেবন, বিপণন, মদদদান ও পৃষ্ঠপোষকতার ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবনের বিধান রাখা হয়েছে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত মাদক আইনে। আর ইয়াবার পরিমাণ ২০০ গ্রাম থেকে ৪০০ গ্রাম পর্যন্ত হলে ৫ বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ইয়াবার পরিমাণ ২০০ গ্রামের কম হলে সর্বনিম্ন একবছর ও সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া যাবে এই আইন পাস হলে। মাদক বহন-বিপণনে এসব শাস্তির সঙ্গে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা যাবে, এ আইনে অর্থের পরিমাণ উল্লেখ নেই।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, খসড়া আইন কার্যকর করা হলে মাদকাসক্ত শনাক্তের জন্য ‘ডোপ টেস্ট’ কার্যকর করা সম্ভব হবে। নতুন করে যেকোনো মাদক এলেই তাকে মাদকদ্রব্যের তালিকায় ফেলা যাবে। সব মাদকই এই অাইনের অাওতায় চলে অাসবে।

শফিউল অালম বলেন, সীসা বারের বিষয়েও কোনো আইন নেই। তাই এ সংক্রান্ত বিধান অাইনে অানা হয়েছে। সীসার একটি সংজ্ঞা নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। সীসাসহ বিভিন্ন ভেষজ নির্যাস দশমিক দুই শতাংশের বেশি নিকোটিন এবং এসএস ক্যারামেল দিয়ে তৈরি যেকোনো পদার্থ এর অাওতাভুক্ত হবে।

অাইনের ১১, ১২ ও ১৩ ধারায় বলা অাছে কেউ যদি বার চালাতে চায় তার লাইসেন্স লাগবে ।

খসড়া আইনে সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে ‘নিয়ন্ত্রিত বিলি’র সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ‘নিয়ন্ত্রিত বিলি’র অর্থ হবে অপরাধ সংগঠনে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করবার উদ্দেশ্যে পরিচালিত বিশেষ তদন্ত কৌশল। এর ফলে কোনো মাদকদ্রব্য, এর উৎস, উৎপাদন বা মিশ্রণের বেআইনি অথবা সন্দেহজনক চালানকে তদন্তের ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো আইন প্রণয়নকারী সংস্থা সরকারের জ্ঞাতসারে ও তত্ত্বাবধানে শেষ গন্তব্য পর্যন্ত অনুসরণ করা এবং এ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত সব অপরাধীকে গ্রেফতার করা।

সরকার সর্বোচ্চ তিন মাস সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রিত বিলির অনুমোদন দিতে পারবে।