হিমু’র ঘাতক সেই কুকুর নিয়ে বেকায়দায় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ
চট্টগ্রামে কুকুর লেলিয়ে স্কুল ছাত্র হিমাদ্রি মজুমদার হিমুর হত্যার বিচারে আসামীদের ফাঁসির রায় হলেও চিড়িয়াখানায় বন্দি সেই ঘাতক বিদেশী কুকুরের বিষয়ে কোন সুরাহা হয়েছে কিনা জানাতে পারেনি আদালত সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে আটক সেই বিদেশী হিংস্র কুকুর নিয়ে গত সাড়ে ৪ বছর ধরে বিপাকে আছেন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
আদালত সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর রবিবার বিকালে হিমু হত্যার রায়ে চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নুরুল ইসলাম মামলার ৫ আসামীকে মৃত্যু দণ্ডের আদেশ দেন। কিন্তু ঘাতক কুকুরের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অনুপম চক্রবর্ত্তী। তিনি বলেন, মামলায় রায় ঘোষণা হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেনি আদালত। তাই চাঞ্চল্যকর এ মামলার মূল আলামত সে বিদেশী কুকুর বিষয়ে এখন আদালতের সিদ্ধান্ত জানতে পারিনি।
সরকারী এ কৌশলী জানান, হিমু হত্যার সময় ৫টি বিদেশী কুকুর দিয়ে তার উপর হামলা করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ্য আছে। এর মধ্যে আসামীদের বাসা থেকে পুলিশ ঘটনার পর ৩টি কুকুর উদ্ধার করে। বাকি দুটি কুকুর আসামীরা সপরিবারে পালিয়ে যাওয়ার সময় সঙ্গে নিয়ে যায়।
আদালতের নির্দেশে রটউইলার জাতের সেই জার্মানি ৩টি কুকুর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় রাখা হয়। এর মধ্যে দুটি কুকুর মারা যায়।
জানা গেছে, রটউইলার জাতের একটি কুকুর জার্মানি থেকে আনতে খরচ পড়ে এক লাখ টাকারও বেশি। তবে এখানে যদি এ জাতের কুকুর কেউ কিনতে চান তবে খরচ পড়ে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা সুত্রে জানাগেছে, দেশীয় কুকুরের জন্য বিশেষ কোন নির্দিষ্ট খাবারের প্রয়োজন না হলেও বিদেশী এ কুকুরের জন্য প্রতিদিন দিতে হয় চার থেকে পাঁচ কেজি টাটকা গরুর মাংস। পচা কিংবা বাসি সে খায় না।
তাই হিমু হত্যায় ব্যবহৃত এ কুকুরটির খাবার জোগাতে গিয়ে এখন বেকায়দায় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। কারণ প্রতি মাসে গড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয় এ কুকুরের পেছনে। বছরে এর পেছনেই খরচ লাখ টাকার বেশি।
আমাদের প্রতিবেদক মুনির ফারুকের সাথে আলাপকালে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সদস্য সচিব ও ডেপুটি রেভিনিউ কালেক্টর মো. রুহুল আমিন জানান, ‘আদালতের নির্দেশনামতে কুকুরটিকে চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছে। কিন্তু এটি স্বাভাবিক কুকুরের মতো নয়। প্রতি মাসে শুধু খাবারের পেছনে কুকুরটির জন্য খরচ হয় ১২ হাজার টাকার চেয়েও বেশি। স্বাভাবিকভাবে চিড়িয়াখানায় কুকুর রাখা হয় না। এ কুকুরকে রেখে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’ চিড়িয়াখানার দায়িত্বরত চিকিৎসক মনজুর মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, ‘এ জাতের কুকুর অনেক বেশি হিংস্র প্রকৃতির হয়ে থাকে। এদের জন্ম জার্মানিতে। কুকুরটি তাজা গরুর মাংস ছাড়া আর কিছুই খেতে চায় না। চাহিদার তুলনায় মাংস কম হলে কুকুরটি সারাক্ষণ ঘেউ ঘেউ করে। তখন এটি আরও হিংস্র আচরণ করতে থাকে।’
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৭ এপ্রিল নগরীর পাঁচলাইশ থানার একটি বাড়ির ছাদে কুকুর লেলিয়ে দিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয় সামার ফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী হিমাদ্রী মজুমদার হিমুকে। টানা ২৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৩ মে রাজধানীর একটি হাসপাতালে হিমু মারা যায়।
এ মামলায় রবিবার ব্যবসায়ী শাহ সেলিম টিপু, তার ছেলে জুনায়েদ আহমেদ রিয়াদ এবং রিয়াদের তিন বন্ধু শাহাদাৎ হোসাইন সাজু, মাহাবুব আলী খান ড্যানি এবং জাহিদুল ইসলাম শাওনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু দণ্ডের রায় দেন আদালত।
vinno dhirmi news
great job
Plz sobtuku news diben
সবটুকু নিউজ মানে..? বুঝলাম না..
Agree with Jalal Uddin Sagor vai… 🙂 😀