ক্যান্সারে আক্রান্ত দেশের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী সুরকার-গীতিকার লাকী আখন্দ এর উন্নত চিকিৎসার জন্য তহবিল গঠনে রবিবার রাতে নগরীর ষোলশহরস্থ ‘বারকোড অন ফায়ার’ এ আয়োজন করা হয় একটি ফান্ড রাইজিং অনুষ্ঠানের।
ফান্ড রাইজিং অনফ্ল্যাগ শো – ট্রিবিউট টু লাকী আখন্দ’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করেছে ‘বারকোড অন ফায়ার’।
লাকী আখন্দ’র সুর, কথা এবং সংগীতের ছোঁয়া আছে এমন অনেক কালজয়ী গান পরিবেশন করেন ব্যান্ড দল নাটাই এন্ড ফ্রেন্ডস ও সাথে চট্টগ্রাম ম্যাট্রিকেল, জল রং, অধ্যায়ন, অধ্যায়ু, ট্রাফিক সিগন্যাল, ওয়ানিং ব্যান্ডের লীড ভোকালরা যথাক্রমে শাকিল মজমুদার, নাঈম রহমান, আরফাত রেহমান, সাখাওয়াত পাভেল, মোসলেহ উদ্দিন পীযু, সাজ্জাদ হোসেন ও মঈনুদ্দীন হিমু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমায় ডেকো না, চলো না ঘুরে আসি,আগে যদি জানিতাম এইসব বিখ্যাত গানের সুরকার, গীতিকার, কম্পোজার এবং সংগীত শিল্পী লাকী আখন্দ মরণ ব্যাধি রোগ ফুসফুস ক্যান্সার এ আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে শয্যাশায়ী। অর্থাভাবে কেমোথেরাপি দিতে না পারার কারনে তিনি আরো মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের সহযোগিতাই পারে দেশবরেণ্য এ গুণী শিল্পীর উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, বারকোডের কর্ণধার মঞ্জুরুল হক ও নকশার সিইও ইসমাইল চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ‘নাটাই এন্ড ফ্রেন্ডস’।
দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক বলেন, সবাই মিলে কাজ করার মজাই আলাদা। অনেক সময় দেখা যায়- আমরা কোন একটা কাজ করতে চাই কিন্তু একা করতে সংকোচ লাগে। কাজটা আর করা হয় না। লাকী আখন্দের মত একজন শিল্পীর চিকিৎসায় সবার সহযোগিতা করা উচিত। চট্টগ্রামের সবকিছুর সাথে আজাদী ছিলো, থাকবে এবং থাকতে চায়।
মঞ্জুরুল হক বলেন, লাকী আখন্দের উন্নত চিকিৎসা টাকার অভাবে হচ্ছে না শুনেই কিছু একটা করার কথা ভাবছিলাম। কিন্তু শুধু আমরা একার সাহায্যে কিছু হবে না। তাই সবাইকে নিয়ে কি করা যায় এমন ভাবনা থেকে এই আয়োজন। অনেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবে না বলে দুঃখ প্রকাশ করছেন। অনুষ্ঠানে আসতে না পারার পরেও সিলেট থেকে টিকেট কিনেছেন। এটি আমাদের প্রথম উদ্যোগ। ফান্ড সংগ্রহের জন্য আরো ব্যতিক্রমী আয়োজন করবো আমরা। বারকোড সব সময় এ ধরনের উদ্যোগে সহযোগিতা করবে।
অনুষ্ঠান আয়োজকদের অন্যতম নাহিদুর জামান বলেন, লাকী আখন্দ আমাদের জন্য প্রেরণা। ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত এই শিল্পী টাকার অভাবে ১০ টি কেমো দিয়ে বাকিগুলো না দিয়ে ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরে এসেছেন। বর্তমানে ঢাকা ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন। আমরা চট্টগ্রামের কিছু ব্যান্ড একত্রিত হয়েছি। সামনে আরো কিছু ফান্ড রাইজিং এর উদ্যোগ নেবো। তাঁর উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। সবাই এগিয়ে আসলে কালজয়ী এই শিল্পীকে বাঁচানো সম্ভব।
বারকোড এর সহযোগিতায় ফান্ড রাইজিং শো এর টিকিটের মূল্য ছিলো ১ হাজার টাকা। সাথে চিকেন চিলি মিল বা ব্রোস্ট চিকেন মিল ও ড্রিংস ফ্রি ছিলো। টিকিট থেকে প্রাপ্ত অর্থ লাকী আখন্দের চিকিৎসায় ব্যয় হবে।