অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বিএনপির শ্লোগানের কারণে বিব্রতকর পরিস্থিতি পড়েন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা

0
.

চট্টগ্রামে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা চলকালীন সময়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি পড়েছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। আজ শনিবার (২৭অক্টোবর) দুপুর সোয়া ২টা থেকে চট্টগ্রাম বিএনপির মহানগর অফিসের সামনে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্যের জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো নেতার নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়া ও তারেকের নামে স্লোগান দিতে থাকে।

 
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের বক্তব্যের সময় নেতাকর্মীরা- ‘খালেদা জিয়া ও তারেকের নামে’ স্লোগান দিতে থাকে। তখনও কেউ কথা বলেনি। এরপর নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না নাম ঘোষণার পর পরই মঞ্চের সামনে থেকে মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলার রায় প্রত্যাহার ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর মুক্তি চাই ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।
 
স্লোগানের চাপে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি তুলে বক্তব্য শুরু করেন মাহমুদুর রহমান মান্না। এরপরও থামলো না নেতাকর্মীরা। মাহমুদুর রহমান মান্না বক্তব্য থামিয়ে বলে বসলেন, আমরা তো বলছি যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে…।
 
এরপর চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি নেতাকর্মীদের স্লোগান বন্ধের দায়িত্ব নিলেন। সঙ্গে স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মির্জা ফখরুলের কথায় সাময়িক চুপ থাকেন নেতাকর্মীরা।
 
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে চলা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল হোসেন, প্রধান বক্তা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
 
এ ছাড়া আরও উপস্থিত আছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত আছেন।