অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বেগম জিয়াকে বেআইনীভাবে সাজা দেয়া হয়েছে

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি ও আসন্ন নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য একটি সাজানো মামলায় সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে। বিচার প্রার্থীর অনুপস্থিতিতে বিচারের নজির পৃথিবীতে নেই। অসুস্থ থাকা অবস্থায় কোনো মামলায় বিচারের রায় দেয়া আইনবিরোধী।

তিনি আরো বলেন, এই রায়ে বেগম জিয়া ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এটা সম্পূর্ণভাবে একটা ফরমায়েশী রায়।  সরকার যা বলছে, যা চেয়েছে এবং সরকারের মন্ত্রীরা যা বলছেন, সেগুলোর প্রতিফলন হয়েছে এই রায়ের মধ্যে। তাই আমরা এই রায় প্রত্যাখান করছি।

তিনি আজ (৩০ অক্টোবর) মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্দোগে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা সাজানো রায়ে সাজা দেয়ার প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

এতে তিনি আরো বলেন, সরকার চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে গায়েবি মামলা ও গণ গ্রেফতার এখনো অব্যাহত রেখেছে। প্রতিদিন বিএনপির শত শত নেতাকর্মীদেরকে অমানবিকভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে। সমাবেশ থেকে বের হওয়ার পথে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, আকবার শাহ বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ওয়াসিমুল গণি, কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি আলী আজমি মাবুদকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এভাবে গ্রেফতার নির্যানত করে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। তিনি তিনি অবিলম্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, সহসভাপতি ইকবাল চৌধুরীসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবী জানান। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় দায়েরকৃত গায়েবী মামলা প্রত্যাহরের জোর দাবী জানান।

চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আরেকটি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সাজা দেয়া হয়েছে। এই বিচারকার্য একতরফাভাবে চলেছে। অসুস্থ হওয়ার পরে বেগম জিয়া আদালতে আসতে পারছিলেন না। বেগম জিয়ার বিচার করার জন্য জোর করে আদালত বসানো হয় কারাগারে। সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে এই সাজা। সরকারের পক্ষে কোন জনমত নেই বলেই ভোটারবিহীন সরকারের মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে বন্দুকের জোরে আদালতকে কব্জায় নিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দন্ড দেয়া হয়েছে।

এতে আরো বক্তব্য রাখেনচট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম । সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কী, যুগ্ম সম্পাদক কাজী বেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, জাহাঙ্গির আলম দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু। সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইব্রাহিম বাচ্চু, নগর মহিলা দল সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, শেখ নুরুল্লাহ বাহার প্রমুখ।

বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায় সাজা দেয়ার প্রতিবাদে আগামীকাল ৩১ অক্টোবর বুধবার সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় মাঠে কেন্দ্রঘোষিত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।