অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বেগম খালেদা জিয়ার রায়ে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে

0
.

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন বলেছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করার রায় একটি নজিরবিহীন ও অস্বাভাবিক ঘটনা। রাজনৈতিক উদ্দোশ্যেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের ইচ্ছার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেছে। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে কোন তথ্য দিয়ে প্রমাণ করতে পারেননি যে তিনি জড়িত। সঠিক বিচার হলে তিনি এ মামলায় খালাস পেতেন। সরকার আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধী দলকে ধ্বংস করতে চায়। তাই তারা সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গুলোকে দখল করে রেখেছে।

তিনি আজ ৩১ অক্টোবর বুধবার সকালে নাসিমন ভবস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে বেগম খালেদা জিয়াকে সাজানো রায়ের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

এতে তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র পুণ:রুদ্ধার আন্দোলনকে ব্যাহত করতে চট্টগ্রামে গায়েবি মামলা ও গণ গ্রেফতার এখনো অব্যাহত রেখেছে সরকার। চট্টগ্রামে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সফল সমাবেশের পর থেকেই বিএনপির নেতা কর্মীদের গণহারে ধরপাকড় করছে। চট্টগ্রামের পুলিশ প্রসাশন বিএনপি নেতাদের রাজপথে দাড়াতেই দিচ্ছে না। দলীয় কর্যালয় থেকে সমাবেশ শেষে বের হওয়ার সময় নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার দলীয় কার্যালয়ে পুলিশের সাথে অপ্রীতিকর কিছু না ঘটলেও বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশকে হামলার ঘটনা সাজিয়ে কোতোয়ালী থানায় আরেকটি গায়েবী মামলা দায়ের করেছে। এসব মামলার কারণে বিএনপি নেতাকর্মীরা কোথাও একত্রিত হওয়াতো দুরের কথা তাদের স্বাভাবিক ব্যক্তিগত নাগরিক জীবন সম্পূর্ণরুপে বিপর্যস্ত। তিনি পুলিশ বাহীনিকে মামলা ও গ্রেফতার নির্যাতন বন্ধ করে সকল প্রকার প্রভাব মুক্ত হয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহবান জানান।

তিনি অবিলম্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর, সহসভাপতি ইকবাল চৌধুরীসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তির দাবী জানান। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান সহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় দায়েরকৃত গায়েবী মামলা প্রত্যাহরের জোর দাবী জানান।

মানব বন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এম এ হালিম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সেকান্দর চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবি নেতা সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আর ইউ চৌধুরী শাহীন, উত্তর জেলা বিএনপি নেতা অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সারোয়ার আলম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, মহানগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মো.ইদ্রিস আলী, সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক আজাদ বাঙ্গালী, মহানগর মহিলা দলের সহ-সভাপতি ফাতেমা বাদশা, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, উত্তর জেলা বিএনপি নেতা মোঃ ইউসুফ নিজামী, আহসানুল কবির রিপন, সোলায়মান মঞ্জু, নগর শ্রমিক দল সভাপতি তাহের আহমদ, মহিলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, বিএনপি নেতা ইউসুফ সিকদার, আখি সুলতানা, মনোয়ারা বেগম হেনা, সৈয়দ তানভীর হায়দার, মোবারক হোসেন কাঞ্চন, ইকবাল হোসেন রুবেল, ফারহানা জসিম, আলী নেওয়াজ মামুন, মারিয়া জসিম,আনিস আক্তার টিটু, মুক্তিযোদ্ধা ফজল বারী, সুজাউদ দৌলা সজিব, রেজাউল করিম, তৌহিদুর রহমান টিটুল, মোঃ বোরহান উদ্দিন, মোঃ শফিউল আলম, মোসাদ্দেক হোসেন, রবিউল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম মাসুদ, নুর উদ্দিন ফরহাদ, কাজী আবছার, নাছির উদ্দিন, মরজিনা খসরু, হাদিজা সুলতানা, শাহনাজ বেগম অন্যান্য নেতৃবন্দ।

বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায় সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে আগামীকাল ১ নভেম্বর বৃহাস্পতিবার সকাল ১০ টায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় মাঠে কেন্দ্রঘোষিত অনশণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।