অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

শিবির কার্যালয়ে বিষ্ফোরণের পর পুলিশের তল্লাশি, ৬ ককটেল উদ্ধার

0
.

চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানার চন্দনপুরাস্থ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নগর(উত্তর)অফিসে বিষ্ফোরণ হয়েছে বলে দাবী করে সেখানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৬টি তাজা ককটেল আধা কেজি গান পাউডার ও পেট্রোল বোমা তৈরীর উপকরণ পেয়েছে বলে দাবী করেছে। আজ শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগর পুলিশের একটি বিশাল টিম ও বোমা ডিসপোজার টিম এ অভিযান চালায়।

এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ শিবির কার্যালয়ে তল্লাশীর উদ্যোগ নিলে শিবির কার্যালয়ের চতুর্থ তলায় বিস্ফোরণ ঘটে বলে পুলিশ জানায়।

.

এর পর থেকে অর্ধশত পুলিশ দল চন্দনপুরার শিবির কার্যালয়টি ঘিরে রাখে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মেহেদী হাসান জানান, পুলিশ শিবির কার্যলয়ের অভিযান চালানোর উদ্যোগ নিলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শিবির নেতারা পেনিক সৃস্টির জন্য নিজেরাই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গোপন সুড়ঙ্গ দিয়ে পালিয়ে গেছে।

মেহেদী হাসান বলেন-প্রথমে আমরা ধারনা করেছিলাম বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে, পরে অভিযানের সময় দেখা গেছে সেগুলো ককটেল। ভবনের দ্বিতীয় তলার অফিসে অবিস্ফোরিত ৬টি, প্রায় আড়াই লিটার অকটেন, আদাকেজি গান পাউডার, বেশকিছু লাঠিসোটা, জামায়াতের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া নেতাদের নিয়ে ছাপানো পোস্টার ও বেশকিছু জর্দ্দার খালি কোটা পাওয়া গেছে।

এছাড়া শিবিরের বায়তুল মাল (মাসিক অর্থ কালেকশনের) তোলার রশিদ বই পাওয়া গেছে।

.

ককটেল বিস্পোরণ ঘটে থাকলে তা কেউ না কেউ ঘটিয়েছেন, তাদের গ্রেফতার করতে পারেননি কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এসি মেহেদী হাসান বলেন, আমরা ভবনের পেছনে একটি গোপন পথ আবিস্কার করেছি, সামনের দিক ঘেরাও করে রাখায় তারা সেই গোপন পথেই পাছিয়েছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, ডিসি রোডে অবস্থিত আর ইসরা নামের চারতলা ভবনটিতেই এক সময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হতো। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেশ কয়েকবার অভিযান চালানোর কারণে সেখানে সংগঠনের কেউ আর থাকেন না। তবে মাঝে মধ্যে গোপনে বসলেও সেখানে আগের সেই কার্যক্রম আর নেই।