অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মালয়েশিয়া পাচারকালে বঙ্গোপসাগর থেকে ৩৩ জন উদ্ধার

0
.

সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় পাচারকালে ২৯ রোহিঙ্গাসহ ৩৩ নারী পুরুষ শিশুকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর থেকে বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে তাদের উদ্ধার করা হয়।  এসময় ৬ দালালকে আটক ও তাদেরকে বহনকারী ট্রলারটিও জব্ধ করা হেয়েছে।

উদ্ধারকৃত ৩৩ জনের মধ্যে ২৯ জন রোহিঙ্গা এবং বাকী ৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা।

উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। আর চার বাংলাদেশী নাগরিকের বাড়ি কক্সবাজার ও টাঙ্গাইলে।

আটকৃত দালালরা হলেন মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে আব্দুশ শুক্কুর, তার ভাই আব্দুল গফুর, কুতুবজোম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মো. হোসেনের ছেলে রফিকুল আলম, কুতুবজোম ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মো. শরীফের ছেলে মো. সৈকত, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল হাকিম সোনামিয়ার ছেলে নাসির উদ্দিন ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মো. দবিরুল ইসলামের ছেলে মো. জুয়েল।

দালালদের মধ্যে আব্দুশ শুক্কুর ট্রলারের মাঝি। ট্রলারটির মালিক কক্সবাজারের টেকপাড়া এলাকার শফি কোম্পানি বলে জানিয়েছেন তিনি।

কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফয়েজুল ইসলাম মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার খবর পেয়ে সেন্টমার্টিনের অদূরে টহল জোরদার করা হয় এবং ৩৩ জন মালয়েশিয়াগামীকে উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের স্ব-স্ব ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর বাংলাদেশী চারজনকেও পরিবারের জিম্মায় তুলে দেওয়া হবে। আটক দালালদের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

কোস্টগার্ডের তথ্য অনুযায়ী উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা হলেন টেকনাফের হ্নীলার মুচনী রোহিঙ্গা ক্যম্পের এস ব্লকের বাসিন্দা হালিমা (১৮), সানজিদা (৪০), সাবিয়া বেগম (২০), নুরুল আমিন (১২), নুর ফয়সাল (৫), সাজিদা (৮), নুর কামাল (৫), নুর হাশেম (৯), মো. আনিস (১৫), ছৈয়দুল আমিন (১৪), রমজান আলী (৩৩) ও আফসার মিয়া (১৯)। লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মনোয়ারা (২২), তাসনিম (২৫), নূরাসাফ, ফরমিন (২৫) ও হারসা বিবি (১৮)।

উখিয়ার থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাসিনা (২০), মো. জমির (১০), এনায়েত উল্লাহ (১৬), আজিজ কামাল (২০), আজিজ কামাল (১৫) ও শামসু (২৫)। বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা খতিজা বেগম (২০), শাহবিদা (৩০), মো. রিয়াহ (৮) ও শরমিন (৫)। কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সৈয়দুল ইসলাম (১৫) ও ইয়াসির (১৮)।

এছাড়া উদ্ধারকৃত ৪ বাংলাদেশী হলেন টাঙ্গাইলের কবির উদ্দিন (২৪) ও মাজেদুর রহমান (২৫), কক্সবাজারের পেকুয়ার পূর্ব পাহাড়ীখালী এলাকার মো. কাশেম (১৭) ও একই এলাকার মনির হোসেন (১৮)।