অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মানুষের ভালোবাসায় চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন মহিউদ্দিন চৌধুরী

0
.

এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসার মধ্য দিয়ে একজন সফল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। তিনি রাজনীতিকে অন্তরে ধারণ করেছিলেন। জনগণের কল্যাণেই রাজনীতি, এজন্য তিনি রাজনীতি করে আমৃত্যু এর সাথে ছিলেন।

চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের মানুষের স্বার্থের সাথে কখনো তিনি আপোষ করেন নি।এজন্য তিনি অন্যান্য রাজনীতিবিদদের থেকে ব্যতিক্রম। মৃত্যুর পর মানুষ স্মৃতির অন্তরালে চলে যান। কিন্তু কেউ কেউ তার কাজের মধ্য দিয়ে থেকে যান মানুষের মনিকোঠায়। বাঙালি যেমন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মনে রেখেছে তেমনি চট্টগ্রামবাসী তাদের প্রিয় মহিউদ্দিনকে আজীবন মনে রাখবে। তিনি কত বড় মাপের নেতা ছিলেন তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে, আরো ভবিষ্যতেও অনেক হবে। মানুষের ভালোবাসার মধ্য দিয়ে চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ডিসেম্বর) বিকালে বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে প্রকাশিত ‘সাংবাদিকবান্ধব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী স্মারকগ্রন্থ’ এর প্রকাশনা উৎসবে বক্তারা এ কথা বলেন।

.

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিন্টু চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

প্রধান আলোচক ছিলেন সমাজবিজ্ঞানী প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. অনুপম সেন।

আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহীবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মহিউদ্দিন চৌধুরীর সহধর্মিনী ও চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা লীগের সভানেত্রী বেগম হাসিনা মহিউদ্দিন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, স্মারকগ্রন্থ প্রকাশনা কমিটির আহবায়ক মোয়াজ্জেমুল হক।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, মৃত্যুর পর মানুষ স্মৃতির অন্তরালে চলে যান। কিন্তু কেউ কেউ তার কাজের মধ্য দিয়ে থেকে যান মানুষের মনিকোঠায়। বাঙালি যেমন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মনে রেখেছে, তেমনি চট্টগ্রামবাসী তাদের প্রিয় মহিউদ্দিনকে আজীবন মনে রাখবে। মুক্তিযুদ্ধ থেকে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের এমন আন্দোলন-সংগ্রাম ছিল না যেখানে তিনি ছুটে যান নি। যেখানেই সংকট সেখানেই তিনি ছুটে গেছেন। এ কারণে চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহিউদ্দিন চৌধুরীকে সম্মান করতেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর (মহিউদ্দিন) পুত্রকে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করে সম্মান করেছেন। নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে দলীয় মনোনয়নও দিয়েছেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মৃতি ধরে রাখতে। মহিউদ্দিনপুত্র নওফেল তার কাজের মধ্য দিয়ে পিতার কাজকে ধরে রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে চলা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভূমিকার কথা স্মরণ করে সাংবাদিকনেতা ইকবাল সোবহান বলেন, যখন দেশের অনেক প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধুর কোন ছবি ছিল না, তখন নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, প্রগতিশীলতার পক্ষে সবসময়ই চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজ কাজ করে গেছে। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ভবন নির্মাণেরক্ষেত্রে সাবেক মেয়র মহিউদ্দিনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমরা অনেকের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে থাকি, কিন্তু কৃতজ্ঞতা স্বীকারে কার্পণ্য করে থাকি।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব তাঁকে নিয়ে স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করেছে। এ গ্রন্থে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে বিভিন্ন সাংবাদিক তাদের দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে লিখেছেন। এতে করে মহিউদ্দিনের বহুমুখী দিকটি উঠে এসেছে।