অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার পরিকল্পনা পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে!

0
.

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আমাদের কাছে প্রমানসহ তথ্য আছে, গত ১০ ডিসেম্বর সোমবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কতিপয় নেতাদের নিয়ে একটি গোপন বৈঠক হয়েছে।

রিজভী আরো বলেন, এ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদেরকে মাঠে নামাতে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেয়া। একটি পর্যায়ে তারা নিজেরাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর হামলা চালাবে। প্রয়োজনে বড় ধরণের নাশকতাও করতে পারে। পরে এসব হামলা ও নাশকতার দায়ভার চাপাবে বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট জামায়াতের ওপর। এসব ঘটনার মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বোঝানোর চেষ্টা করবে যে, যারা এখনই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর হামলা করতে পারে তারা ক্ষমতায় আসলে পরিস্থিতি কী হবে? প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বিভিন্ন পত্রিকা অফিসে টেলিফোনে বলছেন-বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থীদের ওপর হামলা-মামলার সংবাদ যেন ছাপানো না হয়।”

বৃহস্পতিবার নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলন।

তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত এবং আওয়ামী হানাদারদের কবল থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সারাদেশে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ। এই অবৈধ সরকার আগামী নির্বাচনে নিশ্চিত ভরাডুবি আঁচ করতে পেরে হামলা গ্রেফতার বাড়িয়ে দিয়েছে। টিকে থাকার জন্য শেষ মরণকামড় দিচ্ছে এখন। গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে-আইজিপি সব ডিআইজি ও এসপি-দেরকে ঢাকায় তলব করেছেন আজ।”

তিনি বলেন, বিএনপির আড়াই লাখ নেতাকর্মীদের একটি তালিকা করেছে পুলিশ। ডিআইজি এবং এসপিদের সঙ্গে বৈঠকের পর চিরুনী অভিযান চালিয়ে ঐসব নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে নির্বাচনী মাঠ ফাঁকা করা হবে। মূলত: শত বাধা বিপত্তি-গ্রেফতার-হামলা উপেক্ষা করে চারিদিকে ধানের শীষের যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে সেটিকে থামিয়ে দিতেই এই অভিযানের পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ।

“সারাদেশে অস্ত্রধারী প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষে মহড়া দিচ্ছে। এসব অপরাধের কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্টো অতি উৎসাহী কিছু পুলিশ কর্মকর্তারা মিথ্যা মামলা দায়ের ও গণগ্রেফতারের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। গ্রেফতারের নামে মানুষকে পণ্য বানিয়ে বানিজ্য করছে পুলিশ। বিনা কারণে পুলিশ বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করছে। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশ আগ্রাসী ভূমিকা পালন করছে। নতুন নতুন মামলায় বিস্ফোরক ও মাদক দিয়ে কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে ”

“রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এসব জানিয়ে কোন লাভ হচ্ছে না। পুলিশ নির্বাচন কমিশনের কোনো কথা শুনছে না বা নির্বাচন কমিশন তাদের স্বাধীন ক্ষমতা প্রয়োগ করছে না। আওয়ামী লীগের সব কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন গণগ্রেফতার বন্ধ করতে বললেও পুলিশ এসব আমলে নিচ্ছে না। প্রচারণার শুরুর দিন থেকেই পুলিশ ও নির্বাচন কমিশন একাকার। পুলিশ, সরকারি অফিসার ও আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপি ও ফ্রন্টের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছেন। রিটার্নিং অফিসাররা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় তৈরী করছেন না।”

রিজভী বলেন, অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়েই ৫৪টি নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আদর্শ হলো তাদের বিরুদ্ধে কোন সমালোচনা সহ্য না করা। ‘৭৫ সালে সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে একদলীয় বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। এবার শেখ হাসিনা তার অনুগত দলদাশ মিডিয়াদের দিয়ে স্তুতি প্রচার নির্বিঘ্ন করতে ৫৪ টি নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দিয়েছেন। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনা নিজেই প্রমান করলেন, ‘বাকশাল মরিয়াও মরে নাই’।