অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

প্রখ্যাত গীতিকার ও সুরকার ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই

0
.

প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাহি রাজিউন)।
মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর বাড্ডায় নিজ বাসায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তারঁ বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ছেলে সামীর আহমেদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃতদেহ আফতাব নগরে নিজ বাসায় রাখা হয়েছে। শেষ শ্রদ্ধ্যা জানানোর জন্য নিয়ে আসা হবে শহীদ মিনারে।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বাংলাদেশের একজন সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব। তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার এবং সঙ্গীত পরিচালক। ১৯৭০ দশকের শেষ লগ্ন থেকে অমৃত্যু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পসহ সঙ্গীত শিল্পে সক্রিয় ছিলেন।

তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কার-সহ অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭৮ সালে মেঘ বিজলি বাদল ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। তিনি স্বাধীনভাবে গানের অ্যালবাম তৈরি করেছেন এবং অসংখ্য চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।

আমার সারা দেহ খেও গো মাটি এই চোখ দুটো মাটি খেও ন, এই রেল লাইনের ধারে মেঠো পথটার পারে দাঁড়িয়ে এক মধ্য বয়সী নারী এখনো রয়েছে হাত বাড়িয়ে, ও সব কটা জানালা খুলে দাও না-সহ অসংখ্য গানে তার দেওয়া সুর দেশের মানুষের বুকে চিরদিন বাজবে।

রাষ্ট্রপতির পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭১ সালে কিশোর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সূত্র জানায়, রাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হবে শিল্পী বুলবুলের মরদেহ। পরের দিন বুধবার সকাল ১১ টায় তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

সর্বোস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদের জন্য বেলা ১২টা পর্যন্ত শহিদ মিনারে রাখা হবে বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুলের মরদেহ। সেখান থেকে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

তবে দাফনের ব্যাপারে এখনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ জানান, এ ব্যাপারে একমাত্র ছেলের সাথে কথা বলে পরে সিন্ধান্ত নেয়া হবে।

এদিকে পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।