অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ফেসবুকে প্রেম, প্রতারণার বিয়ে অবশেষে স্বামীকে গলাকেটে হত্যা করে আশা

0
.

ফেসবুকের পরিচয়ে মাধমে বিয়ের চার মাসের মধ্যে প্রতারিত হওয়ার ক্ষোভ থেকে স্বামীকে গলাকেটে হত্যার পর বগুড়ায় পালিয়ে গিয়েছিল আশা আক্তার।

৪দিন পর ধরাপড়ে পুলিশের কাছে অকপটে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছে আশা।

খুনী আশার বারত দিয়ে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ জানায়, ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে গত চার মাস আগে আশাকে বিয়ে করে শামীম। শামীর এর আগে আরেকটি বিয়ে করেছিলো তার দুটি সন্তানও আছে। আশার বাড়ী বগুড়া ও শামীমের বাড়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার।

এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানার আব্দুল আলী নগর নেছারিয়া মাদ্রাসা এলাকার একটি বাসা থেকে অজ্ঞাত ব্যাক্তি গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

হত্যার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি ফোনের কলে সুত্র ধরে দুইদিন বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে আশা আক্তার (২৯)কে বুধবাররাতে গ্রেফতার করে পাহাড়তলী থানা পুলিশ।

আজ বুধবার দুপুরে দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) কুসুম দেওয়ান সাংবাদিকদের জানান, শামীম খুন হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে আমরা আশা আক্তারকে বগুড়া থেকে গ্রেফতার করেছি।

তিনি বলেন আশাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে এক বছর আগে ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে চার মাস আগে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর আশা আক্তার জানতে পারেন, শামীম আগেও বিয়ে করেছেন এবং তার দুইটি বাচ্চা আছে। এছাড়া স্বামীর একাধিক মেয়ের সাথে মেলামেশা এবং স্বামীকে একান্তভাবে না পাওয়ার বেদনার ক্ষোভ থেকে শামীমকে খুনের পরিকল্পনা করে আশা আক্তার।

আশা আক্তার জানায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শামীমের সঙ্গে চট্টগ্রামে এসে ভাড়া বাসায় উঠে। সেদিনই শামীমকে ঘুমের মধ্যে খুন করে বগুড়া পালিয়ে যান।

ধৃত আশা আক্তার বগুড়া জেলার সদর উপজেলার ঠনঠনিয়া পাড়ার আব্দুল আজিজের মেয়ে এবং মো. শামীম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার শ্যামন্তগড় এলাকার আবু কালামের ছেলে। পেশায় বাবুর্চি শামীম প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে খুলশী থানার ডেবারপাড় এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হক, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কামরুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার (পাহাড়তলী জোন) পংকজ বড়ুয়া, পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ উপস্থিত ছিলেন।