অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সুন্দরবনে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৪ দস্যু নিহত

0
.

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার জোংড়ার খাল এলাকায় সোমবার কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চার ব্যক্তি নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে র‌্যাব।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানাতে না পারলেও র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং জানায় তারা বনদস্যু।

র‌্যাব হেডকোয়ার্টারের লিগাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের ভাষ্য, সম্প্রতি সুন্দরবনে দস্যুদের তৎপরতা দেখা দেয়ায় র‌্যাব-৮ সুন্দরবনে অভিযানে নামে। সোমবার র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বনদস্যু আরিফ বাহিনী গুলিবর্ষণ করে। আত্মরক্ষায় র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়।

‘কিছু সময় ধরে গোলাগুলির এক পর্যায়ে দস্যুরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চার দস্যুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়’, জানায় র‌্যাব-৮।

ঘটনাস্থল ও বনে তল্লাশি চালিয়ে দস্যুদের ব্যবহৃত বেশকিছু দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করার কথাও জানায় র‌্যাব।

এ বিষয়ে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি সোমবার বিকাল ৩টায় ইউএনবিকে বলেন, এ ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবনের কালাবগী এলাকায় উপকূল রক্ষাকারী বাহিনী কোস্টগার্ডের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক দস্যু নিহত হয়।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩১ মে সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু মাস্টার বাহিনীর প্রধানসহ ১০ দস্যুর আত্মসমর্পণের মধ্যে দিয়ে দস্যুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে থাকেন। এরপর দফায় দফায় দস্যুরা আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন।

২০১৮ সালের ১ নভেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবনের ৩২টি বাহিনীর প্রধানসহ ৩২৮ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেন। আত্মসমর্পণ করা এসব দস্যু ৪৬২টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২৩ হাজার রাউন্ডের বেশি গোলাবারুদ্ধ জমা দেয় বলে র‌্যাব সূত্র জানায়।

এরপর ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই দিন ঢাকা থেকে বাগেরহাট শেখ হেলাল উদ্দীন স্টেডিয়ামে সুন্দরবনের দস্যুদের আত্মসমপর্ণ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন এবং সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন।