রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিয়ে বিএনপির আন্দোলনের পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিয়ে বিএনপির আন্দোলনের পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে উল্লেখ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রামপালে বিদ্যু কেন্দ্র হলে সুন্দর বনের কোন ক্ষতি হবে না।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে গণভবনে শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া সংবাদ সম্মেলনে এসব মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে দেশের উন্নয়ন বিরোধী একটি মহল মানুষকে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা এতোদিন খোঁজার চেষ্টা করছিলাম এর পেছনে শক্তিটা কোথায়? এতদিন পরে আমরা দেখলাম, খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে এই অপপ্রচারে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত আওয়ামী লীগ সবসময় উন্নয়নের জন্য সংগ্রাম করেছে। জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছে। আওয়ামী লীগের লক্ষ্য মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা। সরকার জনগণের সেবক, এটা আওয়ামী লীগই কাজের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আছেন পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম।
শুরুতেই সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তারপর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন বিদ্যুৎ বিভাগের পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে সুন্দরবনের নিকটবর্তী বাগেরহাটের রামপালে নির্মিত হচ্ছে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড’।
প্রকল্পে সহায়তা করছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও ভারতের এনটিপিসি লিমিটেড। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৫১০ কোটি টাকা।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রকল্পের জন্য ৪৩০ একর ভূমি উন্নয়ন কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া চলছে প্রাথমিক অবকাঠামোর কাজ।
পরিবেশের বিশেষ করে সুন্দরবনের ক্ষতি হতে পারে এমন বক্তব্য সামনে এনে বিভিন্ন সংগঠন রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণের বিরোধিতা করছে। বামপন্থি দলগুলোর এই বিরোধিতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও।