অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

লোহাগাড়ার সেই বিতর্কিত ইউএনও আবু আসলামকে প্রত্যাহার

0
.

অবশেষে লোহাগাড়া উপজেলা সেই ‘বিতর্কিত’ নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু আসলামকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার রাতে নির্বাচন কমিশন থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।

জানাগেছে, লোহাগাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে ‘গোপন বৈঠক’ করার অভিযোগে তাকে লোহাগাড়া থেকে প্রত্যাহার করে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি উইং এ পাঠানো হয়েছে।

.

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুলের সঙ্গে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে ১৮ মার্চ নির্বাচন কমিশন বরাবরে অভিযোগ দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী।

নির্বাচন কমিশনে পাঠানো চিঠিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খোরশেদ আলম উল্লেখ করেন-‘গত ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আসলাম তার সরকারি বাসভবনে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক বাবুলের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন। বৈঠকের পর জিয়াউল হক বাবুল এলাকায় হাকাবকা করে বলেন যে- ইউএনও সাহেবের সঙ্গে আমার সমঝোতা হয়ে গেছে। ভোট পাই আর না পাই আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হবে।’

সূত্র জানায়, মূলত ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আসলামকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার জেরে এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গেও বিরোধে জড়ান ইউএনও আবু আসলাম।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘লোহাগাড়ার ইউএনও আবু আসলামকে প্রত্যাহার করার আদেশ সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের চিঠি আমরা পেয়েছি। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এখনও কোনো নির্দেশনা আসেনি। জনপ্রশাসন মন্ত্রাণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন এলেই সঙ্গে সঙ্গে তাকে প্রত্যাহার করে নেয়া হবে।

*লোহাগাড়ার ইউএনও’র দুর্নীতির খবর প্রকাশ করায় যুগান্তর প্রতিনিধিকে গ্রেফতার

*লোহাগাড়ায় গৃহায়ন কর্মসূচীতে ইউএনও’র পুকুর চুরি