অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

লোহাগাড়ায় নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করেছে কোচিং শিক্ষক!

0
.

লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় কোচিং সেন্টারের শিক্ষক কর্তৃক হাত-পা বেঁধে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর কোচিং সেন্টার বন্ধ করে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম (২৭)।

গত ১২ এপ্রিল লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।  ঘটনার ৩ দিন পর গত ১৫ এপ্রিল লোহাগাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন স্কুলছাত্রীর মা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম উত্তর আমিরাবাদ এলাকায় সৃজনশীল নামে একটি কোচিং সেন্টার খুলেন। ভিকটিম ওই ছাত্রীসহ একই পরিবারের ৪ সহোদর সেই কোচিং সেন্টারে পড়তো।

অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের বাড়িও একই এলাকায়। তিনি উত্তর আমিরাবাদ পূর্ব মুহুরি পাড়ার আব্দুস সোবহানের ছেলে।

ওই ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, ঘটনার আগের দিন আমি বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যাই। পরদিন ১২ এপ্রিল সকাল ৮টার দিকে সাইফুল আমাকে ফোন করে আমি কোথায় আছি তা জানতে চান। আমি বড় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আছি বলে জানাই। এরপর তিনি আমাদের ঘরে এসে আমার মেয়েকে একা পেয়ে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় মেয়ের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে সাইফুল পালিয়ে যায়।

পরে গুরুতর আহত আমার মেয়েকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে দীর্ঘ এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠলে ১৮ এপ্রিল মেয়েকে নিয়ে বাড়ি আসি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে লোহাগাড়া থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বিস্তারিত তথ্যের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিকাশ রুদ্রের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।

এসআই বিকাশ রুদ্র বলেন, আসামীর মোবাইল নাম্বার বন্ধ থাকাতে টেকনিক এ্যাপ্লাই করেও তাকে ধরতে পারছি না। আমি এই মুহুর্তেও আসামীর বাড়িতে আছি। এই পরিবারের পুরুষ সদস্যরাও পালিয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমরা শুনেছি যে, অভিযুক্ত সাইফুল দেশের বাইরে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছে। তা ঠেকাতে তার বহির্গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তাকে ধরে দিতে পারলে আমি ব্যক্তিগতভাবে পুরস্কার ঘোষণা করেছি। কারণ এধরনের মানুষেরা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট।