অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন আটকের মামলায় চার্জ গঠন

0
.

চট্টগ্রাম বন্দরে চাঞ্চল্যকর কোকেন আটকের মামলায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের মালিক নূর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহমেদসহ ১০ জনকে আসামি করে এ চার্জ গঠন করা হয়। এই দুই আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালত চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করার এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দীন চৌধুরী বলেন, বন্দরে চাঞ্চল্যকর তরল কোকেন জব্দের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া আগামী ১৯ মে মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৬ জুন রাতে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে তরল কোকেন সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার সিলগালা করেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। ৮ জুন এটি খুলে ১০৭টি ড্রামের প্রতিটিতে ১৮৫ কেজি করে সূর্যমুখী তেল পাওয়া যায়। তেলের নমুনার প্রাথমিক পরীক্ষায় কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া না গেলে উন্নত ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।

ওই বছরের ২৭ জুন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর জানায়, কেমিক্যাল পরীক্ষায় তরল কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের রাসায়নিক পরীক্ষাগারসহ চারটি পরীক্ষাগারে তেলের চালানের দু’টি ড্রামের (৯৬ ও ৫৯ নম্বর) নমূনায় এ কোকেন শনাক্ত হয়।

একই বছরের ২৮ জুন চট্টগ্রাম বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওসমান গনি বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯ (১) এর ১(খ) ও ৩৩ (১)/২৫ ধারায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও তার ভাই খানজাহান আলী লিমিটেডের মালিকানাধীন প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক মোস্তাক আহমেদকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে চোরাচালান সংক্রান্ত বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (বি) ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে। এরপর ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর কোকেন আমদানির মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (উত্তর) মো. কামরুজ্জামান চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে গ্রেফতার হওয়া ছয়জনের সঙ্গে বিদেশে অবস্থানরত দু’জনসহ মোট ৮ জনকে আসামি করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে এজাহারভুক্ত প্রধান আসামির নাম না থাকায় অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেননি আদালত। পরে অধিকতর তদন্ত শেষে নূর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহমেদ এবং আগের আটজনসহ ১০ জনকে আসামি করে আদালতে মাদকদ্রব্য আইনের ধারায় সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও র‍্যাব-৭ তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী