অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ধেয়ে আসছে ফণী, মধ্যরাতে আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশে

0
.

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী মাঝরাতে খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে বলে শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।ঘূর্ণিঝড়টি বিকাল ৩টায় মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

সেই সাথে উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোও ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

.

সরকার উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে ইতিমধ্যে চার লাখ বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছে।ভারতের উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ফণি আরও উত্তর-উত্তরপূর্বে অগ্রসর ও কিছুটা দুর্বল হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকে ফণির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হয়েছে।ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

.

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলো এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এসব জেলার অনেকগুলো গ্রাম ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছেন যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ পরিচালনা ও মানুষকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে, উপকূলীয় ১৯ জেলায় চার হাজার ৭১টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ সমন্বয় সাড়াদান কেন্দ্র সর্বশেষ তথ্য সরবরাহ করছে।আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, পানীয় জল ও ওষুধ মজুদ রাখা আছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।