অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চরম রুক্ষতায় ত্বকের পরম বন্ধু!

0
.

শীতে ত্বক ও চুলের সুরক্ষায় তেলের ভূমিকা মোটেও হেলাফেলা করবার নয়। শরীরের সার্বিক যত্নেই তেল বেশ কার্যকর। যারা বছরের অন্যান্য সময়ে তেলের পরশ এড়িয়ে চলেন তারাও শীত এলে তেলের কাছে সাহায্য খোঁজেন। ত্বকের চরম রুক্ষতায় এর চেয়ে উপকারী বন্ধু আর হয় না কিন্তু। বছর ঘুরে আবারও এসেছে শীতকাল, শরীরে শুষ্ক অনুভূতি ভালোই টের পাইয়ে দিচ্ছে শীতের বিড়ম্বনা। হরেক জাতের তেলের হরেক রকম ব্যবহার জেনে নিয়ে এই শীত আপনার স্বস্তিতে কাটুক বরং।

নারকেল তেল
দেশীয় চিরচেনা নারকেল তেলের কথা সবার প্রথমে আসবেই। প্রচলিত ধারনায় এই তেল ব্যাপকভাবে চুলের যত্নেই ব্যবহৃত হয়। তবে এর জাদুকরী গুণের কথা যারা জানেন এবং আস্থা রাখেন তারা ত্বকের যত্নে এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল বেছে নিতে পছন্দ করেন। খুব ভালো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারের নিশ্চয়তা দেয় এই নারকেল তেল। গোসলের আগে অথবা গোসল করার পরপর হাতে খানিকটা তেল ঢেলে নিয়ে শরীরে আলতো মালিশ করে লাগিয়ে নিন। এতোটুক করলেই বিচ্ছিরি শুষ্কতা থেকে অনেকটাই মুক্তি মিলবে। মারাত্মক শুষ্কতায় ভুগলে পেট্রোলিয়াম জেলির সাথে মিশিয়েও ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন, বাড়তি আর্দ্রতা পাবেন তাতে।

জলপাই তেল
জলপাই তেল আরেকটি খুব পরিচিত তেলের নাম। এর ব্যবহার শরীরের ত্বকেই বেশি হয়। নারকেল তেলের মতোই এটি সারা শরীরে লাগাতে পারেন এই শীতকালে। কৌটোতে করে কিছুটা তেল স্নানঘরে রাখা থাকলে গোসলের আগে বা পরে সহজেই ইচ্ছে মতন লাগিয়ে নিতে পারবেন ত্বকে। ডিপ ময়েশ্চারাইজিং এর জন্য পেট্রোলিয়াম জেলি বা গ্লিসারিনের সাথে সঠিক অনুপাতে ভালো মানের অরগানিক এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল মিশিয়ে ক্রিম বানিয়ে সংরক্ষণ করুন। অতিরিক্ত শুস্কতা কাটাতে এই ক্রিম উপকারে আসবে আপনার। বিশেষ করে ফাটা চামড়া ঠিক করতে এই ক্রিম ভীষণ কার্যকরী।

সরিষার তেল
মন মাতানো ঘ্রাণ নেই বলে তার গুণ নেই, এমন বদনাম সরিষার তেলকে দিতে পারবেন না! শরীরে এই তেলের নিয়মিত মালিশ কতো উপকারী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ঘ্রাণ নিয়ে খুব খুঁতখুঁতে না হলে নিজের শরীরের উপকারের কথা ভেবে মাঝেমাঝেই সরিষার তেলকে আপনার ত্বকচর্চার সামগ্রীর তালিকায় রাখুন। ঠাণ্ডার সমস্যা থেকে আপনাকে আগলে রাখবে বাংলার আদি ঐতিহ্যের পরিচায়ক এই তেল। শীতে যাদের সর্দি-ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ার প্রকোপ রয়েছে তারা গোসলের আগে খানিকটা সরিষার তেল নিশ্চিন্তে মেখে নিন গায়ে, অনেক উপকার হবে।

পায়ের ফাটা গোড়ালিতে পেট্রোলিয়াম জেলিসহ কোন তেল মেখে রাখুন বাসায় থাকলে। বাদাম তেল বা নারকেল কিংবা জলপাই তেল, যা খুশি। মিশ্রণ পায়ে লাগানোর পর নরম মোজা ব্যবহার করুন। কয়েক দিনেই পরিবর্তন চোখে পড়বে, ফাটা গোড়ালি মসৃণ হয়ে আসবে।

লোশন বা ক্রিমে কাজ না হলে রাতে ঘুমের সময় মুখের ত্বকেও খানিকটা তেল মেখে নিতে পারেন। শরীরের ত্বকে জলপাই তেল ব্যবহারে অভ্যস্ত হলে সেটাই মাখুন। অতিরিক্ত শুষ্ক জায়গাতে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখুন।নারকেল তেলে সামান্য চিনি মিশিয়ে রুক্ষ হাত-পায়ে মালিশ করুন। রুক্ষতা কমে আসবে। একই কাজ ঠোঁটের যত্নেও করতে পারেন চাইলে।