অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সবচেয়ে নিরাপদ চুলের যত্নে কোনটি?

0
.

চুল বা ত্বক যত্নের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং কার্যকরী জিনিসটি নিশ্চয়ই বেছে নিবেন! আর তাই আসলে হওয়া উচিৎ। একটু অসতর্করার ফলে অকালে চুল এবং ত্বকের ক্ষতি করতে কে-ই বা চায়।

ত্বক এবং চুলের যত্নে নানা ধরণের প্রোডাক্টরই দেখা মিললেও সম্প্রতি হারবাল এবং আয়ুর্বেদে বেশ আলোচিত। এই শব্দ দুটি ভীষণ কনফিউজিং তাই অনেকেই অনেক সময় এই হারবাল এবং আয়ুর্বেদ আসলে কি তা গুলিয়ে ফেলি। সহজ ভাষায় বলতে গেলে হার্বাল প্রোডাক্ট মূলত সেইসব প্রোডাক্ট যা প্ল্যান্ট এক্সট্র্যাক্ট, গাছের শিকড়, লতা-পাতার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সম্পূর্ণ ম্যান মেইড কেমিক্যাল ফ্রিভাবে তৈরি করা হয়। অন্যদিকে আয়ুর্বেদ হল একটি মেডিসিনাল সাইন্স যাতে হারবাল উপাদানের উপস্থিতির সাথে সাথে হেভি মেটালস যেমন সোনা, রূপা, কপার,টিন,মারকিউরি সালফার এবং প্রাণীজ এক্সট্র্যাক্ট বিদ্যমান থাকে।

চুল বা ত্বক যার কথাই বলি না কেন ন্যাচারাল উপাদানের সাথে হিউম্যান বডি যেভাবে রিয়্যাক্ট করে তা সময় সাপেক্ষ হলেও অধিকতর নিরাপদ। আর সেদিক থেকে বিবেচনায় আয়ুর্বেদ এবং হারবাল দুটি উপায়ই কিন্তু চুলের যত্নের জন্য নিরাপদ। কিছুদিন আগে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায়, চুল পড়া কমাতে, নতুন চুল গজাতে, খুশকিসহ চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে ৮টি ভীষণ কার্যকরী ভেষজ উদ্ভিদের গুণাগুণ সম্পর্কে জেনেছিলেন, আজ সেই ভেষজ উপাদান দিয়ে কীভাবে চুলের যত্ন নিবেন তাই নিয়েই লিখব।

যাদের চুলের গোঁড়া দুর্বল তাদের জন্য ব্রাহ্মী, আমলা, তিলের তেলের সংমিশ্রণ করে একটি প্রণালী বলছি , এই তেলটি সপ্তাহে ৩ দিন অ্যাপ্লাই করবেন। চুলায় একটি বড় পাত্রে পানি দিয়ে জ্বাল ধরিয়ে দিন। এই পাত্রের উপর আরেকটি পাত্র বসিয়ে তাতে তিলের তেল ব্রাহ্মী এবং আমলা মিক্স করে দেখে রেখে দিন ২ ঘন্টা । এরপর ঠাণ্ডা করে পরিষ্কার চুলের গোঁড়ায় লাগান। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই দেখবেন গোঁড়াসহ উঠে আসা চুলের পরিমাণ কমে গিয়েছে।

খুশকির সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা অ্যালোভেরা জেলের সাথে আমলকী, মেথি এবং ভেতিভার পাতা পেস্ট আকারে তৈরি করে হেয়ার প্যাক হিসেবে লাগাতে পারেন এতে করে ফাঙ্গাল ইনফেকশন যেমনি কমবে তেমনি খুশকির উপদ্রব কমে যাবে। তবে ময়েশ্চার লেভেল ঠিক রাখতে এর সাথে সামান্য তেল মিক্স করে নিতে পারেন।

এইতো জেনে নিলেন চুলের যত্নে ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহারে কিছু সহজ রেসিপি। আসলে একটু ধারণা পাওয়া যায় হারবাল বা ভেষজ উপায়ে ত্বকের এবং চুলের যত্ন সর্বাপেক্ষা শ্রেয়।

তবে সময়ের অভাব এবং সব উপাদান একসাথে পাওয়াটাও মুশকিল হয়ে দাড়ায় যার ফলে অনেক সময় এই রেসিপিগুলো ফলো করার উপায় থাকে না। তাহলে করণীয় কী?

মাঝে এমন একটা সময় পার করেছি চুল পড়ার আতঙ্ক মাথায় চিরুনি-ই ছোঁয়াতাম না! খুব বাজেভাবে চুল পড়া স্ট্রার্ট হয়। ব্যস্ততা আর অফিস সব মিলিয়ে নিজের নিজে কোন রেসিপি ফলো করে তা অ্যাপ্লাই করা সম্ভব হত না। তখন থেকেই আমি এমন একটি হারবাল তেল খুঁজছিলাম যা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করবে। আর সময় পেলে তো রেসিপিগুলো ফলো করবই। কিন্তু আমার চাই সবসময় ব্যবহার করার মতো একটি হারবাল তেল!

বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে কথা বলে কুমারিকার হারবাল হেয়ার অয়েল সম্পর্কে জানতে পারলাম। চুলের যত্নে শত বছর পুরনো আয়ুর্বেদে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয়ে আসছে সেইসব উপাদানগুলো এই তেলের ইনগ্রিডিয়েন্ট পোরশনে পড়ে একটু আশ্বস্ত হলাম এবং ব্যবহারও শুরু করলাম। এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল, আমলকি, ভেতিভার, মেথি এবং অ্যালোভেরা এবং মুকুনুউয়েনা এক্সট্র্যাক্ট সমৃদ্ধ এই অয়েলটা ব্যবহার করে আমি বেশ স্যাটিসফাইড। গোছা ধরে চুল পড়া কমে গেল। চুলের গোঁড়াও আগের তুলনায় বেশ সবল এবং একটু টান লাগলেই চুল উঠে আসে না।

কাজেই আমি বলব এই রেসিপিগুলো ফলো করার সাথে সাথে এই তেলটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। ঘন দীঘলকালো চুলের অধিকারি হোন এই প্রত্যাশাই করি।