অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

দেশে এসেছে সুবীর নন্দীর মরদেহ, চলছে শেষকৃত্য

0
.

সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী সুবীর নন্দীর মরদেহ। আজ বুধবার (৮মে) সকালে সিঙ্গাপুর থেকে নিয়ে আসা হয় ৪ দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দীর মরদেহ। সেখান থেকে তার বাসভবন, ঢাকেশ্বরী মন্দির হয়ে নিয়ে যাওয়া হয় শহীদ মিনারে। এসময় সুবীর নন্দীকে শেষবারের মত দেখতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার আত্মীয়-স্বজন, ভক্ত ও অনুরাগীরা।

মগ্ন নদীর মত যার পথের পানে চেয়ে আছেন সে আসলেন। সে আসলেন ঠিকই তবে, নিথর দেহে।

সকাল ৭টার কিছু আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে সুবীর নন্দীর মরদেহ। এরপর সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর গ্রীন রোডে তার বাসভবনে।

শেষ বারের মতো প্রিয় শিল্পীর শবদেহ দেখতে সেখানে ছুটে আসেন আত্মীয়, স্বজন আর সহকর্মীরা।

সংগীত শিল্পী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আধুনিক বাংলা গানের শিল্পীর সংখ্যা খুবই কমে গেছে। বিশেষ করে এত বড় মাপের শিল্পীর সংখ্যা খুবই কম।’

কনক চাঁপা বলেন, ‘উনি আমার ছায়া গুরুর মতো ছিলেন। উনার কাছ থেকে সরাসরি কিছু শিখিনি কিন্তু অনেক কিছু তার কাছ থেকে নিয়েছি। আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’

সকাল সাড়ে ৮টায় গুণী এ শিল্পীকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সেখান থেকে নেয়া হয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে।

সুবীর নন্দীর মেয়ে বলেন, ‘আমি সবার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আমার বাবার অনেক পুণ্যাত্মা। এজন্যই সে এত সম্মান নিয়ে যাচ্ছে। আমার বাবার আমেরিকাতে সবকিছু ছিল। কিন্তু সে থাকেনি। তার ইচ্ছা ছিল, দেশের মাটিতে মারা যাবে। মানুষ তাকে ফুল দিবে। ভগবান তার সব ইচ্ছা পূরণ করেছে।’

ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে সর্বসাধারণের জন্য সুবীর নন্দীকে নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এরপর এফডিসি, চ্যানেল আই, রামকৃষ্ণ মিশন হয়ে সর্বশেষ তার শেষকৃত্য হবে সবুজবাগের কালীবাড়িতে।

গেলো ১৪ এপ্রিল অসুস্থ হয়ে পরলে ১৮ দিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর, ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয় সুবীর নন্দীকে। চিকিৎসা চলাকালে তিনবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। সব চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টায় অজানায় পাড়ি জমান কোটি মানুষের প্রিয় কণ্ঠ।