অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আপনার চুল সুস্থ যে কী করে জানবেন?

0
.

প্রতিটি নারীই সুন্দর আর ঝলমলে চুল পেতে চান। কিন্তু কী করে জানবেন যে আপনার চুল সুস্থ ? এটা জানা যাবে বেশ কিছু সহজ উপায়ে। ৭টি চিহ্ন যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে আপনার চুল হেলদি কিনা-

০১. ঝলমলে চুলঃ আপনার চুল কি ঝলমলে? তাহলে আপনার চুল সুস্থ। কারণ সুস্থ চুলের প্রধান লক্ষণ হল ঝলমলে ভাব। যদি চুল নির্জীব ও রুক্ষ হয় তাহলে চুলে কোন ঝলমলে ভাব থাকেনা।

০২. মসৃণ চুলঃ আপনার চুল কি মসৃণ অর্থাৎ চুল যদি হয় মসৃণ আর সিল্কি তাহলে আপনার চুল দারুণ সুস্থ। ড্যামেজড চুল খুব খসখসে হয়। তাই সুস্থ চুলের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হল মসৃণতা।

০৩. কম চুল পড়াঃ এটা একটা খুব স্বাভাবিক বিষয় যে দিনে ৫০ থেকে ১০০ টি চুল সবারই পড়ে। এটা নিয়ে চিন্তার বিষয় নেই। কিন্তু যদি এর থেকে বেশি অর্থাৎ চুল আঁচড়াতে ও অন্যান্য সময়েও চুল পড়ে তার মানে চুলে প্রতিদিনের পুষ্টির অভাব আছে। অর্থাৎ চুলে পুষ্টি সঠিক পরিমানে হচ্ছে না।

০৪. জটমুক্ত চুলঃ চুল ধোবার পরে চুল যদি জট মুক্ত হয় তাহলে আপনি সুন্দর চুলের অধিকারী। অনেকেই নিজের চুলের জট ছাড়াতে কোন সেরাম ইত্যাদি ব্যবহার করেন মানে আপানার চুল সুস্থ নয়।

০৫. আর্দ্রতা যুক্ত চুলঃ চুল যদি দিনে দিনে তার আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে তাহলে নিশ্চয়ই সেটা চিন্তার বিষয়। এটা বোঝার সব থেকে সহজ উপায় হলো আপনি চুল ধোবার পরে যদি চুল খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় তাহলে বুঝে নিতে হবে যে চুলে আর্দ্রতার অভাব রয়েছে।

০৬. চুলের ডগাঃ আজকের দিনে কমবেশি সবারই ডগাচেরা চুলের সমস্যা আছে। সুস্থ চুলের ডগা ফেটে যাবে না। অর্থাৎ সুস্থ চুলের গ্রোথ সবসময় হয়। চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার জন্য কিন্তু আপনার আনহেলদি লাইফস্টাইল দায়ী। তাই চুলে হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহার এখনই বন্ধ করুন, রাতে শোবার আগে চুল বেঁধে শুতে হবে ইত্যাদি। আর যদি চুলের ডগা ফেটে যায় তার জন্য মাঝে মাঝেই চুলকে ট্রিম করতে হবে।

০৭. সুস্থ স্ক্যাল্পঃ সুস্থ চুলের শুরু সুস্থ স্ক্যাল্পের থেকে। হেলদি স্ক্যাল্প মানে কোন খুসকি না থাকা। অনেক বেশি পরিমান তেল যদি চুলে থাকে তা আপানর চুলকে প্রাণহীন করে দেবে। এর সাথেই যদি থাকে খুসকির সমস্যা তাহলে আগে থেকেই সতর্ক হয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে গোসলের আগে হট অয়েল ম্যাসাজ করতে হবে ও তারপরে মিনিমাম ৩০ মিনিট মাথাটা একটা তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে রাখতে হবে ও শ্যাম্পু করে নিতে হবে। সপ্তাহে ৩দিন শ্যাম্পু করতে হবে।

এই সবকটা বৈশিষ্টই যদি আপনার চুলে বর্তমান থাকে তাহলে আপনার চুল খুব হেলদি। মনে রাখতে হবে আমাদের রোজকার জীবনযাপনই কিন্তু নির্জীব, রুক্ষ চুলের জন্য দায়ী হয়। তাই ভালো চুলের জন্য কিন্তু নিজের লাইফস্টাইলকে আরও উন্নত মানের করে তুলতে হবে। যেমন দিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা, প্রচ্রুর সবুজ শাক-সবজি, ফল ইত্যাদি খেতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম (দিনে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা), অতিরিক্ত স্ট্রেসকে কমাতে হবে ইত্যাদি। চুলে যথেষ্ট হিট দেবেন না, এতে স্ক্যাল্পে অসুবিধে বিশেষ করে খুসকির সমস্যা দেখা দিতে পারে আর চুল ফ্রিজি হয়ে যাবার সম্ভবনা থাকে। ভেজা চুল জোরে জোরে আঁচড়াবেন না, এতে চুলের গোরা আরো দুর্বল হয়ে যাবে।