অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ঝলমলে ও আকর্ষণীয় চুল যখন পেতে চান

0
.

চুল নারী সৌন্দর্যের অন্যতম নিদর্শন। নারী, পুরুষ উভয়ের জন্যই চুল অতি গুরুত্বপূর্ণ, তথাপি ঝলমলে, ঘন, আকর্ষনীয় চুল পেতে নারীরাই চুল পরিচর্যায় বেশি সময় ব্যয় করে। সুন্দর শরীর ও ত্বক পেতে যেমন যত্ন প্রয়োজন, স্বাস্থ্যজ্জ্বল সুন্দর চুল পেতে চাইলেও যত্ন ও পরিচর্যার প্রয়োজন। কারণ স্বাস্থ্যজ্জ্বল, সুন্দর চুল আপনার সৌন্দর্য কে পরিপূর্ণ করে। ঋতুর পরিবর্তন চুলের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। সঠিক পরিচর্যা না করলে চুল ধীরে ধীরে তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে, মলিন ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। তাই সব ঋতুতে চুলের যত্ন নিতে কিছু অত্যাবশ্যকীয় বিষয় মনে রাখা জরুরী।

স্বাস্থ্যজ্জ্বল, সুন্দর চুল পেতে চাইলে যা করতে হবে, তা হলো-

১।কমপক্ষে তিন দিন পর পর চুল পরিষ্কার করতে হবে, তা না হলে ত্বকে ময়লা জমে খুশকি হতে পারে।

২। চুল অতিরিক্ত ধোয়া ঠিক নয়, এতে মাথার ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরিত হয় ও চুল চিটচিটে করে তোলে।

৩। আপনার চুলের জন্য উপযোগী একটি শ্যাম্পু নির্দিষ্ট করুন, তবে অবশ্যই যেন তা আপনার চুলকে কার্যকর ভাবে পরিষ্কার করে। চুলকে নরম, মসৃন ও ময়েশ্চারাইজ করে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।

৪। শ্যাম্পু করার পূর্বে সম্পূর্ন চুল পানিতে ভিজিয়ে নিন, এরপর শ্যাম্পু দিন। ধীরে ধীরে শ্যাম্পু পুরো চুলে এবং মাথার ত্বকে মেখে নিন। এরপর ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন শ্যাম্পুর উচ্ছিষ্ট যেন চুলে বা মাথার ত্বকে লেগে না থাকে। মাথার ত্বক পরিষ্কারের জন্য আঙ্গুল ব্যবহার করুন, নখ নয়।

৫।প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর একটি ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার আবশ্যক। কন্ডিশনার চুলকে ভেঙ্গে যাওয়া, রুক্ষ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। চুলকে জটহীন, নরম, মসৃণ ও আকর্ষনীয় করে তুলতে কন্ডিশনার খুবই জরুরী। আপনার চুলের উপযোগী একটি কন্ডিশনার বেঁছে নিন।

৬।প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য হলেও আপনার মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুন। এর ফলে মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে, ত্বকের মৃত কোষ ও খুশকি দূর হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।

৭।চুলের মলিনতা ও রুক্ষতা দূর করতে সপ্তাহে একদিন চুলে উষ্ণ তেল ম্যাসাজ করুন। এটি চুল ঝরে যাওয়া প্রতিরোধ করে। নারকেল, জলপাই অথবা বাদাম তেল হালকা গরম করে আঙ্গুলের সাহায্যে পুরো মাথায় চক্রাকারে ম্যাসাজ করুন। কয়েক ঘন্টা অথবা পুরো রাত অপেক্ষা করুন, তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৮। মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে নরম দাঁতের চিরুনি।

৯। ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে চুলে একটি স্কার্ফ পেচিয়ে নিন। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি চুলের স্বাভাবিক রঙ ও উজ্জ্বলতা নষ্ট করে ফেলে। এটি আপনার চুলকে ধূলো ও ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করবে।

১০। চুলের ধরন তৈলাক্ত হলে, শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে খানিকটা লেবুর রস অথবা খানিকটা ভিনেগার মিশিয়ে পুরো চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল ঝলমলে ও উজ্জ্বল দেখাবে।

১১। যাদের সুইমিং পুলে সাঁতারের বা ব্যায়াম করার অভ্যাস আছে, তারা নিয়মিত চুলে শ্যাম্পু করবেন। এক্ষেত্রে একটি হালকা শ্যাম্পু বেঁছে নিন যেন তা আপনার চুলকে কার্যকর ভাবে পরিষ্কার করে ও ময়েশ্চারাইজ করে। শ্যাম্পু করার পর একটি ভালো মানের হালকা কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

১২। চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে সপ্তাহে এক দিন আপনার চুলের উপযোগী একটি হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন।

১৩। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। আপনার চুলের সঠিক সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য এটি সর্বোচ্চ উত্তম উপায়।

*বর্জন করুন

১। চুলে অতিরিক্ত চিরুনি করা বা ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকুন।

২। চুলে কখনই সাবান ব্যবহার করবেন না। কারণ সাবানের ক্ষার চুলকে রুক্ষ করে। শ্যাম্পুই উৎকৃষ্ট।

৩। কন্ডিশনারযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এটি চুলকে ময়েশ্চারাইজ করবে। তবে অবশ্যই শ্যাম্পু করার পর আলাদা করে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

৪। চুলের ধরন তৈলাক্ত হলে হালকা ধরনের কন্ডিশনার ব্যবহার করা ভালো। মাথার ত্বকে কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত নয়।

৫।শ্যাম্পু করার পর চুলে চিরুনি করা বা ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকুন। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় ও চুল পড়তে পারে।

৬। স্বাভাবিক উপায়ে চুল শুকাতে হবে। হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করবেন না।