অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

৮ দিনের ছুটির ফাঁদে বেনাপোল স্থলবন্দরঃ দুপাশে ট্রাকজটের শঙ্কা

0
.

মোঃ জসীমউদ্দিন, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
পবিত্র শবে কদর, ঈদ-উল-ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে টানা ৮ দিন ছুটির ফাঁদে পড়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল। তবে মাঝে দুদিন আমদানি-রপ্তানি চলবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে। এর ফলে স্থবির হয়ে পড়বে বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম।
আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে পড়বে এর বিরূপ প্রভাব। এমনিতেই উভয় বন্দরে পণ্যজট লেগেই থাকে। লম্বা ছুটির কারণে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাঁচামালের সংকট দেখা দিতে পারে। সীমান্তের দু‘পাশের ট্রাকজট আরো বাড়বে বলে মনে করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। তবে এ ছুটিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টযাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।

বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি আলহাজ কামাল উদ্দীন শিমুল জানান, ৩০ মে বিকেল থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার এক পত্রের মাধ্যমে ৩১শে মে পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন। ফলে আগামী কাল শুক্রবার বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দর খোলা থাকবে।১লা জুন থেকে টানা ৮ দিন দেশের বৃহত্তম এই স্থল বন্দর বন্ধ থাকবে।

১ জুন সাপ্তাহিক ছুটি, ২ জুন শবে কদরের ছুটি, ৩ জুন একদিন অফিস খোলা থাকলেও তেমন কোনো কাজ হবে না। ৪, ৫ ও ৬ জুন ঈদের তিন দিনের ছুটি। ৭ ও ৮ জুন সাপ্তাহিক ছুটি। ৯ জুন সকাল থেকে পুরোদমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে এ পথে। ১ ও ৩ জুন শুধুমাত্র আমদানি-রপ্তানি হতে পারে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, ১লা জুন থেকে সাপ্তাহিক ও ঈদের লস্বা ছুটি হতে যাচ্ছে। ৩ জুন বন্দর খোলা থাকবে। কেউ পণ্য ডেলিভারি নিতে চাইলে অবশ্যই দেওয়া হবে। তবে ঈদের আগে ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় কেউ পণ্য নিবে বলে মনে হয় না বলে আমার ধারনা।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেন জানান, এবার সাপ্তাহিক ছুটিসহ ঈদের ৮ দিনের লম্বা ছুটির মধ্যে ৩ জুন অফিস খোলা থাকলেও তেমন কোনো কাজ কর্ম হবে না। ঈদের একদিন আগে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারকরা কোনো কাজ করতে চায় না। সেক্ষেত্রে ৯ জুন থেকে শুরু হবে সরকারি অফিস-আদালত। সব মিলিয়ে টানা ৮ দিন ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে দেশ।

এদিকে বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার জানান, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটিতে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত।

উল্লেখ্য, প্রতিদিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩৫০ পণ্য বোঝাই ট্রাক আসে ভারত থেকে। আর বাংলাদেশ থেকে ১৫০ থেকে ২০০ ট্রাক পণ্য যায় ভারতে। এ ছাড়াও শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচা মালামালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য আসে এই বন্দর দিয়ে। একটানা ৮দিন বন্ধ থাকার পর ৯ জুন কাস্টম হাউজ ও বন্দর চালু হলে সৃষ্টি হবে পণ্য জটের। সব মিলিয়ে লম্বা ছুটির কবলে পড়ছে দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর।