অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামের বিদায়ী এডিসি আসিফ ইমতিয়াজের নস্টামি, বিয়ে না করে প্রতারণা

13
.

বিয়ের আগেই বান্ধবীর সাথে সংসার করায় সেই বান্ধবীর গর্ভে অসাবধান বশত সন্তান চলে আসায় এবার ফেঁসে যেতে বসেছেন চট্টগ্রামের সদ্য  বিদায়ী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এডিসি (এলএ) এবং বর্তমান সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসিফ ইমতিয়াজ। এমন অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগের বিষয়টি শেষ পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে গড়িয়েছে।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে গণসমালোচনা ঠেকাতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এডিসি (এলএ) আসিফ ইমতিয়াজকে (পরিচিতি নং-১৬৭৫৩) সম্প্রতি সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে বদলি করা হয়। সর্বশেষ এ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে বিষয়টি তদন্ত নেমেছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর একটি লিখিত অভিযোগে ময়মনসিংহের ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, বিগত বছরের এপ্রিল মাসে বান্ধবীর মাধ্যমে আসিফ ইমতিয়াজের সাথে আমার পরিচয় হয়। পরে জানতে পারি তার ডিভোর্স হয়ে গেছে। সেই সূত্র ধরে কয়েকদিন ফোনে কথা হয়। এরপর এপ্রিল মাসে তার সাথে ঢাকায় এসে সাক্ষাৎ করি। প্রথম সাক্ষাতেই আমাদের বিয়ে নিয়ে কথা হয়।

এরপর মে মাসের প্রথম সপ্তাহ সে মিরপুর-৬ নম্বরে একটি বাসা ভাড়া নেয়। বাসা নেয়ার খবর দেয়ার পর আমি ঢাকায় আসি। ওই বাসায় তার বোন-ভগ্নিপতির সাথে কথা হয়। তাদের সামনেই মে মাসের মধ্যে বিয়ে করবেন বলে প্রতিশ্রæতি দেন আসিফ।

ওই সময় আসিফ ডিভোর্স সম্পর্কে নবাগত বান্ধবীকে জানান, তার আগে শ্বশুর আইনজীবী হওয়ায় ডিভোর্সের প্রক্রিয়াটায় একটু সময় বেশি লাগছে। যেদিন ডিভোর্স পেপার হাতে পাবে পরের দিনই বিয়ে করবেন। এমন আশ্বাস ও তার বোন ও ভগ্নিপতিকে সাক্ষী রাখায় আমি তার সাথে থাকতে রাজি হই।

বাড়ি ভাড়া নেয়ার সময় বাড়িওয়ালা তার আইডি নম্বরসহ সব বিষয় নিশ্চিত হওয়ার পর বাড়ি ভাড়া দিয়েছে বলে আমাকে জানান। আমি একা হওয়ায় ওই বাসায় আমি থাকতাম না। আসিফ আমাকে মিরপুরে একটি হোস্টেল ঠিক করে দেয়। বৃহস্পতিবার রাতে সে আসত তখন আমরা বাসায় থাকতাম।

কখনো শনিবার কখনো রবিবার সকালে সে চট্টগ্রাম চলে যেত। এই বাসায় দুই মাস থাকার পর ওই বাসাটা আমরা ছেড়ে দেই। পরে পরিচিত একজনের মাধ্যমে বনশ্রীতে একটি সাবলেট নেই। সেই বাসা পাওয়া পর্যন্ত আমরা বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাসায় থাকতাম। একই বছর জুন মাসে ছয় দিনের প্রশিক্ষণে আসিফ ঢাকায় আসে। ওই ছয় দিন আমরা বিজয়নগরে একটি অভিজাত হোটেলে ছিলাম।

এরপর বনশ্রীতে বাসা পাওয়ার পর প্রতি সপ্তাহ দুই দিন কখন আরো বেশি দিন একসাথে থাকতাম। বিউটি পার্লার করার জন্য সে আমাকে ট্রেড লাইন্সেল করতে বলে। তার কথামতো ময়মনসিংহে একটি ট্রেড লাইন্সেস করি। ব্যাংক থেকে লোন করে দিবে এ কথা বলে আমার ট্রেড লাইন্সেস, পাসপোর্ট ও ছবি এবং আমার মায়ের ছবি নেয়।

সেগুলো দিয়ে সে কোনো লোনের ব্যবস্থা না করে কদমতলির স্ট্যান্টার্ড ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট করে। এটি আমি জানতাম না। একদিন বাসায় তার মানিব্যাগে আমার নামে স্ট্যাস্টার্ড ব্যাংকের ডেবিট কার্ড দেখতে পাই। ওই সময় তাকে আর কিছু বলিনি। কারণ বললেই সে আমাকে গালিগালাজ ও মারধর করবে এ আশংকায়। পরে ব্যাংকে গিয়ে জানতে পাই এক মাসে এই অ্যাকাউন্টে সে ২০ লাখ টাকা লেনদেন করেছে।

ভোক্তভোগী নারী আরো জানান, চলতি বছরের জানুয়ারিতে আমি গর্ভবতী হই। এটা তাকে জানানোর পরই আমার সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে। ওই শিশু নষ্ট করার জন্য প্রচন্ড চাপ দেয়। এক সপ্তাহ পরই সে আমাকে ফেসবুকসহ সব যোগাযোগ মাধ্যমে ব্লক করে দেয়। তার সাথে আমি কোনো

যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। নানাভাবে তাকে ম্যাসেজ দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। পরে চট্টগ্রামে গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করেও পারিনি। পরে ডিসির সাথে সাক্ষাৎ করে ঘটনা বলা পর তিনি বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন এবং একজন এডিসিকে দায়িত্ব দেন।

এডিসি তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি পুরোপুরি অস্বীকার করে। আমি সব ডকুমেন্ট দেয়ার পর এডিসি তাকে চট্টগ্রাম থেকে বদলির করার সুপারিশ করেন। তার সুপারিশ মতে চলতি বছরের এগ্রিল মাসে তাকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে বদলি করা হয়। এর পর থেকে তার সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। আর জানুয়ারি মাসে তার সাথে আমার শেষ সাক্ষাৎ হয়। এরপর সে দেখা করতে চাইলেও আমি করিনি।

আমার আশঙ্কা, দেখা করলে সে জোর করে আমার গর্ভের শিশুসন্তান নষ্ট করবে না হয় আমাকে মারধর করবে। এখন পর্যন্ত নানাভাবে তিনি (ইউএনও)আমাকে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তার ভয়ে আমি ঢাকায় নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় থাকতে পারছি না। একেক দিন একেক জায়গায় দিন যাপন করছি।

ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রেরণ করেছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, আমি ইউএনওকে ডেকে ওই নারীর অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি ওই নারীর সাথে তার সম্পর্ক থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। পরবর্তীতে মন্ত্রিপরিষদ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাবার পর ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উপ পরিচালক স্থানীয় সরকার) কে তদন্তভার দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ ইমতিয়াজের সরকারি মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ইউএনও’র সরকারি মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে ওই নারীর অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে চাইলেও তিনি কোন রকম বক্তব্য প্রদান করেননি।

১৩ মন্তব্য
  1. Iqbal Hossain Shopon বলেছেন

    বান্ধবী র কি কোন দোস ছিল না শুধু লোকটার ছবি দিলেন কাজটা তো দুজনে ইচ্চতে হইছে

  2. Relaxe Arzo বলেছেন

    দুজনের ছবি দেওয়া উচিত ছিল,কারণ দুজনেই আপোষে পুর্তি করেছিল তার ফসল উৎপাদন করতে পেরেছে

  3. Hafijur Rahman বলেছেন

    মেয়েরা ধোয়া তুলসি তাই, শুধু ছেলেদের ছবি দেয়!

  4. Saif All Shahriar বলেছেন

    মামা তালি এক হাতে বাজে না। বালের পোষ্ট

  5. MD Alamin বলেছেন

    সঠিক বিচার হওয়া উচিত।

  6. রুহুল আমিন বলেছেন

    হা হা হা
    ভাই কি লিখলেন??
    সাবেক এডিসি??
    এডিসি হতে আরও তিন বছর লাগবে।

  7. Nihar Sultana Emu বলেছেন

    হেতেরে কসাই খানায় নিয়া বিয়ে পড়াই দেন🤣🤣🤣

  8. Paathok.News বলেছেন

    উনি চট্টগ্রামে কি দায়িত্বে ছিলেন..?

  9. Mohammad Amdad Waker বলেছেন

    লোভী মেয়ে…

  10. Mohammad Salahuddin Sanny বলেছেন

    Yain Er Lok Hoye Onnai Korle, Pablik R Ki Shikbe?

  11. Md Boktiar বলেছেন

    স্বপন ভাই তোমার কথাটা ভালো লাগছে।

  12. Hasanur Rashid বলেছেন

    rdc !!!/???

  13. Shamsul Alam বলেছেন

    উভয় লোভী
    তবে মেয়ে টা সুযোগ করে দিয়েছে সেই বেশী অপরাধী
    সরকারি চাকরি লোভী স্বামীর লোভ সামলাতে পারল না