অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ফটিকছড়িতে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবক খুন

0
.

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানা এলাকায় পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের গুলিতে আবদুর রহিম বাদশা (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানাধীন বড়ইতলী গ্রামের জনৈক কালার বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রহিম বাদশা স্থানীয় মোমিনুল হক সর্দারের ছেলে।

বড়ইতলী-রামগড়-দাঁতমারা সড়কে গাছের গাড়ীসহ বিভিন্ন পণ্যবোঝাই গাড়ী থেকে চাঁদা উত্তোলনে বাধা দেয়াসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সুত্র জানায়।

পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতংকের পাশাপাশি উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিজিবি ও পুলিশের যৌথবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দাঁতমারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জানে আলম বলেন শনিবার রাতে বড়ইতলীতে পাহাড়ী (শান্তিবাহিনী) সন্ত্রাসীরা এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে । চেয়ারম্যান বলেন ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি সন্ত্রাসী তপন নামের এক ব্যক্তির সাথে নিহত বাদশা’র দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সুত্র জানায়, উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের বড়ইতলী গ্রামের মধ্যদিয়ে চলাচলকারী সড়কে বাঁশ দিয়ে গাছের গাড়ীসহ বিভিন্ন পন্যবোঝাই গাড়ী এবং ঐ এলাকায় উৎপাদিত নানা ধরনের পন্য থেকে চাঁদা আদায় করতো পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা। পরিস্থিতি বুঝে শান্তি চুক্তির পক্ষে বিপক্ষের দুটি গ্রুপ কখনো ইউপিডিএফ আবার কখনো জেএসএস এ চাঁদা আদায় করত।

গত কয়েকমাস আগে রহিম বাদশা তার সমর্থিত লোকজন নিয়ে জনৈক স্ট্যান্ড কালার বাড়ীর সামনে চাঁদা আদায়ে বাধা প্রদান করে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হালকা মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে করে পাহাড়ী বাঙ্গালীদের এ দু পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নেয়। স্থানীয়ভাবে এ নিয়ে দু পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেস্টা ব্যর্থ হয়।

চাঁদাবাজি বন্ধের পাশাপাশি নিজেদের আদিপত্য বিস্তার সুদৃঢ় করতে রীতিমত কালার বাড়ীতে অবস্থান করতেন রহিম ও তাঁর সঙ্গিরা।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মত রাত ১২ টার দিকে রহিম ও তার সঙ্গি লিটন এবং অপর একজনসহ কালার বাড়ীতে গিয়ে অবস্থান নেয়। এসময় খবর পেয়ে ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের একটি স্বশস্ত্র গ্রুপ কালার ঘরের জানালা দিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে রহিমকে হত্যা করে। তবে এ সময় রহিমের সাথে থাকা তার অপর দুই বন্ধু হতাহত হয়নি।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাটহাজারী (সার্কেল) আবদুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ঘটনার পর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।  এ ব্যাপারে এখনো কোন মামলা হয়নি বলে জানিয়ে তিনি বলেন পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে নিহত রহিমের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব।