অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কবুতরের বিষ্ঠা থেকে মারণঘাতি রোগ

1
.

শখ করে বা পেশা হিসেবে অনেকেই কবুতর পোষেন। তাদের যত্ন করতে নিয়মিত নানাভাবে কবুতরের সংস্পর্শে আসেন তারা। এমন অবস্থায় কবুতরের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর রোগে আক্রান্ত হতে পারেন ওই ব্যক্তি।

সম্প্রতি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর একটি হাসপাতালে এক শিশুর মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হচ্ছে কবুতরের বিষ্ঠার সঙ্গে সম্পর্কিত এক ধরনের প্রদাহকে।

কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে অন্য একটি সমস্যা নিয়ে ভর্তি ছিল শিশুটি। হাসপাতালে থাকা অবস্থাতেই কবুতরের বিষ্ঠা থেকে ক্রিপটোকক্কাস নামক এক ধরনের ছত্রাক সংক্রমণ হয় তার শরীরে। সেটি থেকে দেখা দেয় নতুন অসুখ। কবুতরের বিষ্ঠার সংস্পর্শে আসা মাটিতে এটি পাওয়া যায়।

হাসপাতালের যে ঘরে শিশুটিকে রাখা হয়েছিলো সেটির খুব ছোট একটি ছিদ্র থেকে কবুতরের বিষ্ঠা সম্ভবত ঘরে প্রবেশ করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। প্রদাহ থেকে শিশুটি মারা গেছে। এমন প্রদাহের ফলে কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাস কষ্ট, জ্বর, মেনিনজাইটিস হতে পারে। এই নির্দিষ্ট প্রদাহটি অবশ্য মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না।

এই ছত্রাক সংক্রমণ ছাড়াও কবুতরের বিষ্ঠা থেকে মানবদেহে আরও কয়েকটি অসুখ হতে পারে। যেমন এক ধরনের ফ্লু হতে পারে যার নাম সিটাকোসিস। জ্বর, মাথাব্যথা, ফুসকুড়ি এগুলো এর সাধারণ লক্ষণ। অনেক সময় নিউমোনিয়া পর্যন্ত গড়াতে পারে সমস্যাটি।

ফ্লু থেকে ফুসফুসের একটি প্রদাহ হতে পারে যার নাম হিসটোপ্লাসমোসিস। সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত হতে পারে মানবদেহ যা থেকে ডাইরিয়া হয়। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম অথবা যারা ইতিমধ্যেই কোন শারীরিক সমস্যায় দুর্বল তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

সাধারণত কবুতরের বিষ্ঠা পরিষ্কার করতে গিয়েই সবচাইতে বেশি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। বিষ্ঠা পরিষ্কারের সময় বাতাসে তার যে কণা ভেসে বেড়ায় সেটি নিশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে। এর প্রতিরোধী ব্যবস্থা হিসেবে খাঁচায় খুব বেশি বিষ্ঠা জমতে না দেয়াই ভালো। কবুতরের ঘর পরিষ্কার করার সময় নাকমুখ কিছু দিয়ে ঢেকে নিন। পাখিকে খাওয়াতে গিয়ে বা আদর করতে গিয়ে বিষ্ঠা গায়ে লেগেও আক্রান্ত হতে পারেন এসব অসুখে। যদি শরীরের সঙ্গে কবুতর বা অন্য পাখির বিষ্ঠার সংস্পর্শ হয় তবে খুব সাবধানে তা পরিষ্কার করতে হবে।

১ টি মন্তব্য
  1. Joyanti Bhowmik বলেছেন

    Rana Kumar Shill