অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

স্বাস্থ্যকর তেলেভাজা তৈরি করবেন কীভাবে?‌ জানুন

0
.

স্মার্টফোন ও সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে কলকাতার আড্ডায় নবীন প্রজন্মের ভিড় কিছুটা ফিকে হয়েছে। এর মধ্যেও এখনও তিলোত্তমার অলিতে গলিতে অবসর সময় পাড়ার আড্ডা দেখা যায়। আর আড্ডা মানেই গরম চা ও তেলেভাজা। পাশাপাশি খাদ্য রসিক বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাদ্য তেলেভাজা। প্রিয় খাদ্য হবে নাই বা কেন শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর মত মনীষিদের প্রিয় ছিল তেলেভাজা। এই ঐতিহ্যের ধারা অব্যাহত রাখতে এখনও বাঙালি ব্যস্ততার ফাঁকে নিছক আড্ডার আসরে গরম চা, মুড়ি দিয়ে তেলভাজা খেতে দেখা যায় প্রায়শই৷ এমনকি বাংলার রাজনৈতিক আঙিনায় ডান–বাম অনেকে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে এই মুড়ি ও তেলেভাজা।
পাশাপাশি বেশিরভাগ বাড়ির সববয়সীদের কাছে তেলেভাজা আকর্ষণীয় মুখরোচক খাদ্যে পরিণত হয়েছে৷ খাদ্য রসিকদের কাছে পেঁয়াজি, বেগুনি, ফুলুরীর পাশাপাশি আলু, মোচা, পনির, ক্যাপসিকাপ, ফুলকপি, ডিম, টমোটো, লঙ্কার চপ বঙ্গবাসীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে৷ এই জনপ্রিয়তার জন্য তিলত্তমার পাশাপাশি মফস্বল শহরের অলিতে গলিতে ছড়িয়ে পড়েছে তেলেভাজার দোকান৷ ‌কিন্তু চিকিৎসকেরা বলেন অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার খেলে কোলেস্টোরেল বেড়ে গেলে নানা সমস্যা শুরু হয়।

এই কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। এই ঝুঁকি কমিয়ে তেলেভাজাকে কি করে স্বাস্থ্যকর করবেন, আসুন জেনেনি সেই পন্থা–
❏ তেলেভাজাকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে অলিভ অয়েলে ‌ব্যবহার করুন। অলিভ অয়েল কোলেস্টোরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এই তেল স্বাস্থ্যকরও বটে।
❏ একবার তেল ঢেলে তাতে একবারই ভাজার চেষ্টা করুন। এক তেল বারবার ব্যবহার করবেন না।
❏‌ তেলে ভাজা খাবারের জন্য বেসন বা ময়দা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বেসন বা ময়দাতে থাকে গ্লুটন। এই গ্লুটন খুব বেশি তেল শুষে নেয়। এর পরিবর্তে চালের গুঁড়ো ব্যবহার করেও স্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারেন তেলেভাজা।
❏ ভাজার জন্য ‌বেসন, ময়দা, চাল গুঁড়ো মাখা তৈরি বা পাকোড়ার মিশ্রণে অবশ্যই বেকিং সোডা ব্যবহার করবেন। কারণ বেকিং সোডা ব্যবহার করলে তেলের টান কম থাকে।
❏ তেল পুরোপুরি গরম না হওয়া পর্যন্ত ‌ভাজা করতে যাবেন না। আবার বেশি তাপমাত্রায় ভাজলেও সহজেই পুড়ে যায়। তাই সঠিক তাপমাত্রায় ভাজার চেষ্টা করুন। কড়াইয়ে ডুবো তেলে ভাজার জন্য ৩২৫-৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট যথেষ্ট।