অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ভোরে ওঠার অভ্যেস গড়ুন : ১০টি সুফল ভোগ করুন

0
.

প্রবাদ আছে ‘তাড়াতাড়ি বিছানায় যাওয়া তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা, একজন মানুষকে স্বাস্থ্যবান, সুখী ও সম্পদশালী করে।’ এছাড়া সফল মানুষের সবারই প্রায় অভ্যেস ছিল- খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা।

আপনি যদি সুস্থ্যতা চান। সারাদিন কর্মোদ্দীপনায় কাটাতে চান। এই কর্পোরেট প্রতিযোগিতায় অন্যদের ছাড়িয়ে যেতে চান। দক্ষতা, যোগ্যতা ও মেধাকে শাণিত করতে চান। তাহলে ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যেস গড়ুন।

১. নামাজের মাধ্যমে বরকতময় দিন শুরু করুন।

নামাজ আদায়ের মাধ্যমে গুনাহ থেকে বেঁচে যাবেন। সওয়াবের অধিকারী হবে। জান্নাতের পথ সুগম হবে। দিনের সবকিছুতে বরকত লাভ করবেন।

২. প্রকৃতি উপভোগ করুন।

ফজরের নামাজ আদায়ের পর দেখবেন, চারিদিকে স্নিগ্ধ নিরবতা। পাখির সুরেলা মুর্ছনা। অপার সৌন্দর্য নিয়ে প্রকৃতির ছুটোছুটি। যা আপনাকে বিমোহিত করবে। আবেগে আপ্লুত করবে। আপনি পাবেন অনাবিল শান্তির অনুভুতি। এতে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার প্রতি আপনার কৃতজ্ঞতাবোধ তৈরি হবে।

৩. ব্যায়াম করুন, সুস্থ্য থাকুন।

ভোরে ঘুম থেকে উঠলে ব্যায়াম করার যথেষ্ট সময় পাবেন। জগিং করুন। খালি হাতে বা জিমে গিয়ে ব্যায়াম করুন। এতে শরীর ও মন ফ্রেশ থাকবে। সারাদিন কাজে বাড়তি উদ্যম পাবেন। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের আশঙ্কা কমে যাবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

৪. সারাদিনের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করুন।

পরিকল্পিত জীবন সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দময় হয়। ভোরে ঘুম থেকে উঠলে পর্যাপ্ত সময় পাবেন দিনের কাজের পরিকল্পনা ঠিক করার জন্য। এতে সময় ও অর্থের অপচয় থেকে বাচতে পারবেন।লক্ষ্যে পেীছানো সহজ হবে। সকল কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারবেন। জীবনটা সুন্দর হয়ে উঠবে।

৫. নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিন।

পরিকল্পনা শেষ করে নিজে ভাবুন যে- কাজগুলো আপনি সহজভাবে করতে পারছেন এবং সফল হচ্ছেন। এতো আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। কাজে ্উদ্দম পাবেন।

৬. সময় নিয়ে সুন্দর মতো নাস্তা সারুন।

কাজ শুরুর আগে আপনি যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন, নাস্তা করার জন্য। এতে শরীরের বিশেষ উপকার হবে। সময়ের অভাবে বাসায় নাস্তা না করে বাইরে গিয়ে হয়তো ফাস্টফুড বা অন্যকিছু খাবেন। যা শরীরের জন্য মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।

৭. বাইরে বের হতে তাড়াহুড়ো ত্যাগ করুন।

ভোরে ওঠার জন্য আপনি ভালোমতো প্রস্তুতি নিয়ে বাইরে বের হতে পারছেন। তাড়াহুড়ো করতে হচ্ছে না। এতে ভুল করে কিছু রেখে যাওয়া বা অহেতুক দূর্ঘনায় পড়ার সম্ভাবনা থাকছে না।

৮. প্রতিদিন প্রচুর অবসর সময় উপভোগ করুন।

ভোরে অফিসে গেলে জ্যামমুক্ত শহরে সময়মতো অফিসে যেতে পারবেন। ঠাণ্ডা মাথায় কাজ শেষ করতে পারবেন। বাড়তি চাপ অনুভব করবেন না। দেখা যাবে- এতে প্রচুর সময় বেচে যাচ্ছে। বাকি সময়টা অবসর কাটাতে পারবেন। অন্যদের সময় দিতে পারবেন।

৯. পজিটিভ মনোভাব তৈরি হবে, সেটা ইনজয় করুন।

সবকিছু যখন সফলভাবে সম্পন্ন হবে, নিজের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। সুশৃঙ্খল জীবন চলতে থাকবে। তখন নিজের মধ্যেই একটা পজিটিভ মনোভাবে তৈরি হবে। যেটা আপনাকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সফল মানুষে পরিণত করবে।

১০. ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক জীবনে ভরপুর সুখ-শান্তি লাভ করুন।

সকালে উঠার জন্য পরিবার এবং নিজেকে আপনি সময় দিতে পারবেন। স্ত্রী কিংবা সন্তানদের সঙ্গে নাস্তা করে ভালো সময় পার করতে পারবেন। বিকেলে আবার বন্ধুদের সময় দিতে পারবেন। আত্মীয়-স্বজনদের খোজ খবর নিতে পারবেন। এভাবে ভরপুর শান্তি লাভ করুন।