অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বাচ্চারা কেন খেতে চায় না!

0
.

শিশুর যত্ন ও খাবারের বিষয়ে সব মায়েরাই সচেতন। আজকাল শিশুদের বিরুদ্ধে মায়েদের প্রধান অভিযোগ হচ্ছে, তারা খেতে চায় না। আর শিশুর কম খাওয়া নিয়ে মায়েদের চিন্তার শেষ নেই। তারা পারলে সারাদিন শিশুকে খাওয়াতেই ব্যয় করছেন। বিশেষ করে দুই-তিন বছরের শিশুর মধ্যে এই কম খাওয়ার প্রবণতা খুব বেশি দেখা যায়।

শিশুর খাবারে অনীহার কারণ সম্পর্কে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থাইরোকেয়ারের পুষ্টিবিদ মো. ইমদাদ হোসেন বলেন, শিশুদের কম খাবার খাওয়ার কারণে বাবা মায়েদের চিন্তা অমূলক নয়। তবে শিশুদের খাবারের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে, তা হচ্ছে:

শিশুর বয়স ও খাবারের চাহিদা
একটি দুই বছরের শিশুর শরীরটাই বা কতটুকু, সে কতটুকু খাবার খেতে পারবে একবারে, তার শারীরিক অ্যাক্টিভিটি কেমন? এগুলো বিবেচনা করে শিশুর খাবারের পরিমাণ ঠিক করতে হবে।

সময়
অনেক মা আছেন, ঘড়ির সময় মেপে শিশুকে বেশি খাবার খাওয়াতে চান, কিন্তু শিশুটির যদি তখন ক্ষুধা না থাকে, তবে সে খেতে চাইবে না, এটাই স্বাভাবিক।

হজমে সমস্যা
অনেক খাবারে শিশুর হজমে সমস্যা হতে পারে, যেমন দুধকে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে খাওয়ানো হয়, আবার খিচুরিতে কয়েক ধরনের ডাল, মাংস দিয়ে রান্না করা হয়, নিয়মিত ডিম খাওয়ানো হচ্ছে, বিভিন্ন ফল, ফলের জুস এসব খাবার থেকে শিশুর অনেক সময় হজমে সমস্যা হতে পারে। আর হজমে সমস্যা হলে খাবারের আগ্রহও কমে যাবে।

জোর করে খাওয়ানো
এটা খুবই কমন, শিশু খেতে না চাইলে তাকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়। এতে খাবার খাওয়া নিয়ে শিশুর মধ্যে ভয় কাজ করে। ক্ষুধা লাগার আগেই খাবার খাওয়ানোর ফলে, নিজে থেকে সে আর ক্ষুধাই অনুভব করতে পারে না।

বাইরের খাবার
শিশুদের বাইরের মুখরোচক খাবারের প্রতি আকর্ষণ থাকে। অতিরিক্ত তেল-মশলার খাবার থেকে অনেক সময় স্বাদ নিয়ন্ত্রণের ‍ অনুভূতি(টেস্টবার) দুর্বল হয়ে ‍যায়, খাবারের স্বাদ না পাওয়ায়, খাবার খেতে চায় না অনেক শিশু।

বিরতি
শিশুকে প্রতিবার খাওয়ানোর মাঝে পর্যাপ্ত সময়ের ব্যবধান রাখতে হবে। শিশুর গঠন ও পরিশ্রমের ওপর খাবারের চাহিদা নির্ভর করে। লক্ষ্য রাখতে হবে শিশুর কোন খাবারগুলোতে হজমে সমস্যা হয়, সেগুলো বাদ দিতে হবে। খাওয়ানোর সময় শিশুর ক্ষুধার ওপর নির্ভর করে সেট করতে হবে, বড়দের সঙ্গে ঘড়ি ধরে নয়।

একই মেন্যু
বড়রা যে এত সচেতন, কিন্তু তাদেরও কি প্রতিদিন এক খাবার খেতে ভালো লাগে, যতই পুষ্টিকর হোক? তাহলে ছোটদের কেন ভালো লাগবে! শিশুর খাবারেও বৈচিত্র্য রাখতে হবে ও টেস্টি করে রান্না করতে হবে।

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে, পর্যাপ্ত খেলাধুলা করলে এমনিতেই শিশুর ক্ষুধা লাগবে, এটা নিয়ে খুব চিন্তার কিছু নেই। তবে দীর্ঘ দিন যদি শিশু কিছুই খেতে না চায়, তবে একজন অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।