অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নেশাগ্রস্থ ভারতীয় নায়ক নায়িকারা

1

full_1683486608_1474002718বলিউডে তারকারা যেমন হিট সিনেমা উপহার দিয়ে বরাবরই আলোচনায় থাকেন। তবে অনেক বলি তারকারা সিনেমার থেকে বেশি আলোচনায় আসেন ব্যক্তিগত জীবনের কারণে। তাদের প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের কমতি নেই। তবে এর বাইরে অনেক বলিউড তারকা আছেন যারা নেশা ডুবে নিজেদের শেষ করেছেন। অনেকে ঘুরে দাঁড়াতে পরলেও বেশিরভাগই অতিরিক্ত নেশার কারণে মারা গেছেন।

দেখে নিনি তেমন ১০ বলিউড তারকা যারা নেশায় ডুবে ছিলেন-

sanjayসঞ্জয় দত্ত: ছোটবেলা থেকেই ড্রাগ নিতেন সঞ্জয়। ১৯৮১ মা নার্গিসের মৃত্যুর পরে মাদক সেবনের মাত্রা আরও বৃদ্ধি পায়। নিষিদ্ধ ড্রাগ সেবনের অভিযোগে ৫ মাস জেলেও কাটাতে হয় সঞ্জয়কে। শেষ পর্যন্ত বাবা সুন‌ীল দত্তের উদ্যোগে আমেরিকার একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে গিয়ে নেশার কবল থেকে মুক্তি পান সঞ্জয়।

রাজেশ খান্না: রাজেশ যখন খ্যাতির চূড়ায় তখনই রোজ রাত্রে নিজের বাড়িতে পার্টি দেওয়া শুরু করেন। তা থেকেই মদের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণেই লিভারের অসুখে আক্রান্ত হন এবং ২০১২ সালে মারা যান।

imageমনীষা কৈরালা: ১৯৯০-এর দশকের শেষ দিকে অভিনয় ও প্রেমে চরম ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল মনীষাকে। হতাশা ভুলেতে নিজেকে মদের নেশায় ডুবিয়ে দেন মনীষা। পরে মনীষার সার্ভিকাল ক্যানসারও ধরা পড়ে। তবে শেষ পর্যন্ত ক্যানসার ও নেশা— দু’য়েরই কবল থেকে নিজেকে মুক্ত করতে সক্ষম হন মনীষা।

srna_81oমীনা কুমারী: কমল আমরোহীর সঙ্গে মীনার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পরেই অবসাদ কাটাতে নিজেকে মদের নেশায় ডুবিয়ে দেন মীনা। সেই সময়ে প্রতিটা ফিল্মের প্রতিটা দৃশ্য শ্যুট করার আগেই মীনা নাকি মদ্যপান করতেন। অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাত্র ৩৯ বছর বয়সেই প্রয়াত হন।

018431029_30300ফারদিন খান: ২০০৫ সালে নিষিদ্ধ মাদক সেবনের অভিযোগে সেন্ট্রাল নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে গ্রেফতার হন ফারদিন। এর পর বলিউডে খুব বেশি সফল ছবিতে অভিনয় করতেও দেখা যায়নি ফারদিনকে।

ধর্মেন্দ্র: এই নায়কের বয়স যখন ১৫, তখন থেকেই মদের নেশায় আসক্ত হন তিনি। পরবর্তীকালে তিনি নিজেই একটি ইন্টারভিউতে স্বীকার করেন যে, মদের নেশার কারণে তাকে যথেষ্ট কষ্ট পেতে হয়েছে।

indexদিব্যা ভারতী: এই অভিনেত্রী খুব অল্প বয়সেই মদ্যপানের নেশায় ডুবিয়ে দিয়েছিলেন নিজেকে। এমনকী তার মৃত্যুর নেপথ্যেও অতিরিক্ত মদ্যপানের অভ্যাসকে দায়ী করেন অনেকে। ফ্যাশান ডিজাইনার নীতা লুল্লার বয়ান অনুযায়ী, দিব্যা যেদিন মারা যান, সেদিন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তিনি নীতার বাড়িতে পৌঁছন। নীতার ঘরে একটি জানলার ধারে বসে মদ্যপান করতে করতে নীতার সঙ্গে কথা বলছিলেন দিব্যা। তখনই নেশার ঘোরে হঠাৎ নীচে পড়ে যান তিনি। তাতেই মৃত্যু হয় তার।

কে. এল. সায়গল: ‘দেবদাস’-এর ভূমিকায় অভিনয় করা এই গায়ক-অভিনেতা ব্যক্তিগত জীবনেও দেবদাসের মতোই মদের নেশায় ডুবে থাকতেন। অতিরিক্ত মদ্যপানের পরিণামে একদিকে যেমন তার লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনই তার গানের গলারও প্রভূত ক্ষতি হয়।

vijoy-raazবিজয় রাজ: ‘রান’ বা ‘মনসুন ওয়েডিং’ ছবিতে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করা এই কৌতুকাভিনেতা আবু ধাবি এয়ারপোর্টে ২০০৫ সালে মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হন।

ও পি নাইয়ার: এই নামজাদা সুরকারের শেষ জীবন খুবই কষ্টের মধ্যে কেটেছিল। নিজের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে এক ভক্তের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলে ও পি। সেই সময়ে মদই ছিল তার একমাত্র সঙ্গী। শোনা যায় যে, শেষ জীবনে কোনও সাক্ষাৎকার দেওয়ার বিনিময়ে টাকার পরিবর্তে মদের বোতল চেয়ে নিতেন ও পি। ২০০৭ সালে মারা যান এই প্রখ্যাত সুরস্রষ্টা।

১ টি মন্তব্য
  1. ডাঃ খালেদ দেওয়ান বলেছেন

    নেশা তারাতো করবেই !!