অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নারিকেল সমাচার

0
.

নারিকেলের নাড়ু, ডাবের পানি, নারিকেলের তেলের সঙ্গে আমাদের সবারই পরিচিতি রয়েছে। মুড়ি-মুড়কি কিংবা চাল ভাজার সঙ্গে নারিকেল চিবিয়ে খাওয়ার দৃশ্য গ্রাম-বাংলায় প্রায়ই চোখে পড়ে। নারিকেলের রয়েছে ত্বক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কিছু ভিন্ন রকম ব্যবহার। আসুন দেখে নিই-

নারিকেল খাদ্যে স্বাদ বাড়ায়
পছন্দের খাবারের স্বাদ আরও বাড়িয়ে তুলতে নারিকেল অথবা নারিকেলের দুধ যোগ করুন। সেমাই, পিঠা, কেক, চকলেট, কুকিজে নারিকেলের জুড়ি নেই। এছাড়া নারিকেলের দুধ চিংড়ির মালাইকারি, হাঁসের মাংস কিংবা পায়েসে বাড়তি স্বাদ যোগ করে।

ডাবের পানি
শরীরকে সতেজ রাখতে ফলের জুস যেমন তরমুজ, কমলা, বাতাবি লেবুর রসের সঙ্গে ডাবের পানি যোগ করলে বাড়তি পুষ্টি যোগ হবে। শরীর হাইড্রেটেড রাখতে চিকিৎসকেরা ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন। জুস হিসেবে কম ফ্যাটযুক্ত নারিকেলের দুধও খেতে পারেন।

অলিভ অয়েলের পরিবর্তে
তরকারিতে নারিকেল অথবা এর দুধ ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি সালাদ বা চাটনিতে জলপাই তেলের পরিবর্তে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। দইযুক্ত তরকারি, ডাল রান্না করতে পারেন নারিকেল তেলে।

ময়েশ্চারাইজার
নারিকেল প্রাকৃতিক ময়েশ্চার হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বক আর্দ্র রাখে। সারাদিন ত্বকে পুষ্টি মজুদ রাখে। নারিকেল তেল সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা যায়। তবে অন্য ময়েশ্চারাইজার পণ্যের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা স্পষ্ট হয়।

প্রাকৃতিক টোনার
নারিকেল তেল শুধু ত্বককে মসৃণ করে তা নয়, এটি প্রাকৃতিক টোনার হিসেবেও কাজ করে। এর ফ্যাট লোমকূপ বন্ধ করে। ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখে।

ব্রণের চিকিৎসায়
নারিকেলে টোনিং গুণ থাকায়, লোমকূপের ময়লা বের করে ত্বককে ব্রণমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

মেকআপ তুলতে
নারিকেল তেল মুখে মেখে আলতো ঘষুন। এটি মেকআপ ও ত্বকের অতিরিক্ত তেল সাফ করবে। ত্বক মসৃণ ও কোমল হয়ে উঠবে।