কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ৪ দুর্বৃত্ত মিলে এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত চার ধর্ষককের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বৃহস্প্রতিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় ধর্ষিতা কিশোরীর বড়ভাই বাদী হয়ে জেলার আনোয়ারা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে গতকাল বুধবার রাতে আনোয়ারা ইপিজেডের একটি জুতা কারখানায় কাজ শেষে নিজ বাড়ী চন্দনাইশে ফেরার পথে ওই কিশোরীকে নির্জন জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে দুর্বৃত্তরা গণধর্ষণ করে বলে জানায় পুলিশ।
পরে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে যায়। রাত ৮টার দিকে স্থানীয়রা কিশোরীকে উদ্ধার করে অজ্ঞান অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
নির্যাতিত কিশোরী কোরিয়ান ইপিজেডের কর্ণফুলী সু ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। চন্দনাইশের বাড়ি থেকেই তিনি প্রতিদিন কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করেন।
কিশোরীর জবানবন্দির ভিক্তিতে আনোয়ারা থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বলেন, ফ্যাক্টরি থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার সময় আনোয়ারা চাতরি চৌমুহনী এলাকায় এসে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠে কিশোরী। ওই অটোরিকশায় চালক ছাড়া আরও দুইজন ছিল। তারাই ওই তাকে কালার মার দিঘী সংলগ্ন চায়না রোডে নিয়ে যায়। এলাকাটি নির্জন। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে ধারণা করছি।”
পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।
চমেক হাসপাতালের ৩৩ নং ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক নার্গিস সুলতানা বলেন, রোগী (ধর্ষিতা) এখন আশঙ্কামুক্ত। আগের চাইতে এখন ভালো আছেন
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, বুধবার (৩ জুলাই) রাতে আনুমানিক ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তার জ্ঞান ফিরেছে।
তাদের ধরে ক্রশফায়ার করা হবেনা?
ওদের একমাত্র শাস্তি হল ক্রসপায়ার
এই অপরাধের কঠিন শাস্তি হয় না বলেই অপরাধীরা দিনদিন অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে