অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

জয়ে বিশ্বকাপ শেষ করতে টাইগারদের প্রয়োজন ৩১৬

0
.

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে জয় দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয় টাইগারদের। টুর্নামেন্টে অসাধারণ ব্যাটিং করে সেমির স্বপ্ন দেখিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সবশেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হেরে যাওয়ায় সেই স্বপ্ন ভেঙে যায়।

আজ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারাতে পারলে বিশ্বকাপের সেরা দশ দলের মধ্যে পঞ্চমস্থানে থাকতে পারবে বাংলাদেশ। এছাড়া বিশ্বকাপের এক আসরে অতীতে তিনটি জয়ের রেকর্ড ছাড়িয়ে নতুন ইতিহাস গড়বে মাশরাফি বিন ‍মুর্তজার নেতৃত্বাধীন দলটি।

শুক্রবার বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ৩১৫ রান করে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০০ রান করেন ওপেনার ইমাম-উল-হক। ৯৬ রান করেন বাবর আজম। শেষ দিকে ২৬ বলে ৪৩ রান করেন ইমাদ ওয়াসিম। এছাড়া ২৭ রান করেন মোহাম্মদ হাফিজ। বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিন উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন। শুক্রবার ইংল্যান্ডের লর্ডসে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এদিন টাইগারদের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন বাবর আজম। অনবদ্য ব্যাটিং করে সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন তিনি। তার সেঞ্চুরির স্বপ্ন ভেঙে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার গতির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন বাবর। তার আগে ৯৮ বলে ১১টি চারের সাহায্যে ৯৬ রান করেন তিনি।

এর আগে ফখর জামানের উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। রেকর্ড রান সংগ্রহের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিতে গিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ফখর জামান। ফখরের বিদায়ে ৭.২ ওভারে ২৩ রানে ভাঙে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি।

দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজমকে সঙ্গে নিয়ে ১৫৭ রানের জুটি গড়েন পাকিস্তান ওপেনার ইমাম-উল-হক। এই জুটিতে জোড়া ফিফটি তুলে নেন তারা। ফিফটির পর বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন বাবর আজম। শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে বাবরের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪ রান। এমন অবস্থায় সাইফউদ্দিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন বাবর। রিভিউ নিয়েও উইকেট বাঁচাতে পারেননি পাকিস্তানের ধারাবাহিক রান করে যাওয়া বাবর।

এরপর মোহাম্মদ হাফিজকে সঙ্গে নিয়ে ৬৬ রানের জুটি গড়েন ইমাম-উল। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী লর্ডস স্টেডিয়ামে সেঞ্চুরি করেন পাকিস্তানের এ ওপেনার।

২ উইকেটে ২৪৬ করে রানের পাহাড় গড়ার স্বপ্ন দেখিয়ে ছিলেন ইমাম-উল-হক ও বাবর আজমরা। এরপর মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

মোস্তাফিজুর রহমানের বলে সিঙ্গেল রান নেয়ার মধ্য দিয়ে ৯৯ বলে বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন ইমাম-উল-হক। ১০০ বলে সাতটি বাউন্ডারিতে ১০০ রান করে মোস্তাফিজের শিকার হয়ে ফেরেন পাকিস্তানের এ ওপেনার। তার বিদায়ের ঠিক দুই রানের ব্যবধানে ফেরেন মোহাম্মদ হাফিজ। তিনি মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হন। সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে তিনটি বাউন্ডারিতে ২৭ রান করেন হাফিজ।

পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি হারিস সোহেল। কাটার মাস্টার মোস্তাফিজের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন হারিস। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ৪৩.৫ ওভারে ২৫৫ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

এরপর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফেরেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। সাইফউদ্দিনের অসাধারণ ইয়র্কারে স্ট্যাম্প ভেঙে যায় ওয়াহাব রিয়াজের। মোস্তাফিজের বলে তার অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হন শাদাব খান। ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মধ্যেই ইনিংনের শেষ দিকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালান ইমাদ ওয়াসিম। তার ২৬ বলের ৪৩ রানের সুবাদে ৩১৫ রান করে পাকিস্তান।