অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ব্রিটিশ দেহরক্ষীর সঙ্গেই পালিয়েছেন দুবাই শাসকের স্ত্রী হায়া

1
.

এবার পালানো স্ত্রীর নামে ‘পরকীয়া’র অভিযোগ তুললেন দুবাই’র শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম। এর আগে তিনি এক কবিতায় তার বউকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে উল্লেখ করেন। খবর দ্য নিউ আরব।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাই’র এ শাসক তার পালানো বউয়ের নামে তার (স্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত নিরাপত্তারক্ষী) বডিগার্ড’র ‘অন্তরঙ্গ সম্পর্ক’ আছে বলে অভিযোগ তুলেছেন।

মধ্যপ্রাচ্যের একটি সূত্রের দাবি, শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম তার ষষ্ঠ স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিন্তে আল হুসেইনের ব্যক্তিগত বডিগার্ড’র সঙ্গে ‘অন্তরঙ্গ সম্পর্কে’ অনেক বিরক্ত ছিলেন।

দ্য টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, তার স্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য যে বডিগার্ড ছিলেন তিনি সাবেক এক ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা। তবে ওই সেনা কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।

দুবাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রিন্সেস হায়ার জন্য ব্রিটিশ বডিগার্ড নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।

সূত্রের দাবি, কয়েক মাস আগে থেকে প্রিন্সেস হায়া বিন্তে তার স্বামীকে ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করছিলেন।
গত কয়েকদিন থেকে দুবাই’র শাসকের স্ত্রী পালিয়েছেন বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর চাউর হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রিন্সেস হায়াকে চলতি বছরের ফেব্র“য়ারি থেকে জনসম্মুখে দেখা যাচ্ছিলো না। এমনকি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলো চালু নেই। যেখানে তিনি প্রতিনিয়ত দাতব্য কাজের ছবি পোস্ট করতেন।

বলা হচ্ছে, তিনি তার কন্যা জালিয়া (১১) ও পুত্র জাভেদকে (৭) নিয়ে জার্মানিতে পালিয়ে গেছেন। জার্মানিতে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। আরব মিডিয়া জানাচ্ছে, জার্মান কূটনৈতিক প্রিন্সেস হায়াকে দুবাই থেকে পালাতে সাহায্য করেছে।

তবে সর্বশেষ জানা যায়, প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল-হুসেইন বর্তমানে লন্ডনে লুকিয়ে আছেন এবং তার স্বামীর কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার কারণে জীবন হারানোর আতঙ্কে আছেন।