অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ফেনীতে ‘র‌্যাব পরিচয়ে’ তুলে নেয়ার ২ মাসেও সন্ধান মেলেনি যুবলীগ নেতার

0
.

ফেনীর সোনাগাজীর উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি গাজী মিলনকে (৪৫) ‘র‌্যাব পরিচয়ে’ তুলে নেয়ার দু’মাসেও সন্ধান মেলেনি। তার সন্ধান পেতে পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার সোনাগাজী মডেল থানা, জেলা গোয়েন্দা অফিস, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবি আই) ফেনী অফিস ও র‌্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পে বারবার যোগাযোগ করলেও সদুত্তর মেলেনি।

নিখোঁজ যুবলীগ নেতা গাজী মিলনের স্বজনরা আজ সকালে ফেনী শহরের একটি রেস্তোরায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। যুবলীগ নেতা গাজী মিলন সোনাগাজী উপজেলার চর চান্দিয়া গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদের ছেলে।

লিখিত বক্তব্যে নিখোঁজ মিলনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি গাজী মিলন। গত ৫ মে দুপুরে নিজ এলাকায় জাহাঙ্গীর ডাক্তারের ফার্মেসী এলাকা থেকে ‘র‌্যাব পরিচয়ে’ সাদা পোশাকধারী ৬-৭ জন ব্যক্তি একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে তুলে পশ্চিম দিকে নিয়ে যায়। তারপর পরিবারের পক্ষ থেকে সোনাগাজী মডেল থানা ও ফেনীতে র‌্যাব ক্যাম্পে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তারাও কোন ধরণের খোঁজ খবর দিতে পারেন নি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গাজী মিলন নিখোঁজের বিষয়ে সোনাগাজী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছে এবং র‌্যাব ক্যাম্পে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।

তাদের বাড়ির পাশ্ববর্তী ‘র‌্যাব সোর্স’ হিসেবে পরিচিত সেন্টু। সেন্টু ঘটনাটির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু সেন্টুর নাম লেখায় র‌্যাব সেই আবেদনটি গ্রহণ করেনি। র‌্যাবের পরামর্শে পরে সেন্টুর নাম বাদ নিয়ে নতুন অভিযোগ দিলে র‌্যাব অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে। তবে র‌্যাব কর্মকর্তারা এ নামে কোন ব্যাক্তিকে নিয়ে যায়নি বলে তাদের জানান। গত দুই মাস ধরে সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে গাজী মিলনের সন্ধান না পেয়ে অবশেষে তারা (পরিবার) সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মিলনের স্ত্রী আকলিমা বেগম জানান, গত বছর এপ্রিল মাসে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (বর্তমানে সাসপেন্ড) মোয়াজ্জেম হোসেন তার স্বামীকে আটক করে স্থানীয় একটি ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার দেখাবে বলে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। তারা টাকা দিতে ব্যার্থ হলে পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের অপর একটি ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মিলনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। পরে জামিনে মিলন মুক্তি পায়।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৭, ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মো. জুনায়েদ জাহেদী জানায়, গাজি মিলন নামে র‌্যাব কাউকে আটক করেনি। তবে তারা পরিবারের পক্ষ থেকে নিখোঁজের আবেদন পেয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। কিন্তু তার (গাজী মিলন) কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।