অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বালিশকাণ্ড: ৩৬ কোটি টাকার বেশি লুটপাটের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি

0
.

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকল্পে ৩৬ কোটি টাকার বেশি লুটপাটের প্রমাণ মিলেছে। হাইকোর্ট জমা দেয়া গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি দুটি প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে এ তথ্য। এই ঘটনায় নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ তদন্ত কমিটি। একই সাথে এই অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের আবাসিক প্রকল্পে বালিশ কিনতে খরচ হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা। আর একটি বালিশ ফ্ল্যাটে তুলতে খরচ হয়েছে ৭৬০ টাকা। গত মে মাসে এমন সংবাদ প্রচারের পর ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ২০ তলায় একটি বালিশ তুলতে ৭৬০ টাকার সেই খরচ হতবাক করে সবাইকে।

এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ব্যারিস্টার সাইয়েদুল হক সুমন। যার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায় এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাই যেন কোন আদেশ না দেয়া হয়।

সোমবার আবাসন প্রকল্পের সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতির বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি দুটি রিপোর্ট হাইকোর্ট জমা দেয়।

রিপোর্টে বলা হয়, চারটি ভবনের আসবাবপত্র ও ইলেক্ট্রিক সরঞ্জাম সরবরাহ কাজের চুক্তি মূল্য ১শ ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। অথচ মালামাল সরবরাহ করা হয়েছে ৭৭ কোটি ২২ লাখ ৮৫ হাজার টাকার। অর্থাৎ চুক্তি মূল্য সরবরাহ করা মালামালের প্রকৃত মূল্যের চেয়ে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার টাকা বেশি। তাই এই বাড়তি পরিশোধিত অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

একই সাথে রিপোর্টে আলাচিত বালিশকাণ্ডের নায়ক পাবনা গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।

এরই মধ্যে রিপোর্টটি হাইকোর্টের সংশ্লিস্ট শাখায় দাখিল করা হয়েছে। আগামী রোববার (২১ জুলাই) এর শুনানি হতে পারে।