খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বরিশালের সমাবেশে জনতার ঢল
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বরিশালে বিভাগীয় সমাবেশ করছে দলটি। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩ টায় নগরের বান্দ রোডের হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে এ সমাবেশ শুরু হয়। সাড়ে তিনটায় সমাবেশ শুরু হলেও বেলা দুইটার মধ্যে সমাবেশস্থলে জনতার ঢল নামে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে ব্যানার হাতে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করছেন নেতা-কর্মীরা।
মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া জানান, বিভাগীয় এ সমাবেশে কেন্দ্রীয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
আগুন নেএীর জন্য এত মায়া কাননা?
জনতার ঢল পয়জন্তই সেস তার পর ইতিহাস
সাহসী নেতার অভাব, জনগন ওমতামত আছে।
সকল আন্দোলন এবং সমাবেশগুলোতে নীল দলীয় নেতাকর্মীদের একটি বিশাল অংশ অংশগ্রহণ করে বলে এই সকল সমাবেশ গুলোকে লোকে লোকারণ্য মনে হয়। কিন্তু এই ধরনের সমাবেশগুলোতে সাধারণ জনতার অংশগ্রহণ থাকে না বললেই চলে। রাজনীতি যারা করে থাকে তারাই এই ধরনের সমাবেশগুলোতে অংশ নিয়ে থাকেন এমন টা আমরা ভালো করেই জানি। তাই যারা ভাবছে এমন মহাসমাবেশ গুলো করার ফলে মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রমাণ হচ্ছে বিএনপি’র পক্ষে সবাই আছে তাদের কাছে জানতে চাইব দলীয় মানুষ ছাড়া কত জন সাধারণ মানুষ এই সকল প্রোগ্রামগুলোতে এসে আপনাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছে?
হেডলাইনটি এমন ভাবে লেখা হয়েছে যাতে বোঝানো হচ্ছে বরিশালের মহাসমাবেশে অনেক সাধারণ জনতা অংশগ্রহণ করেছেন। যদিও আমরা জানি এই মহাসমাবেশ গুলোতে সাধারণ জনতার অংশগ্রহণ তেমন নেই কিংবা বিএনপিপন্থী সাধারণ জনতা তাদের সমর্থন দিয়ে মহাসমাবেশে যায়নি। অনেক আগে থেকে প্ল্যান প্রোগ্রাম থাকার কারণে এ সমাবেশ গুলোতে বিএনপি নেতাকর্মীরা ভালোই কর্মী জমায়েত দিয়েছে। কিন্তু এই ধরনের মহাসমাবেশ যারা বিএনপি কখনো খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে পারবে এমনটা ভাবা আসলেই উচিত না।