অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনকাণ্ডে হাটহাজারীতে বিক্ষোভ মিছিল

5
.

চট্টগ্রামে প্রায় ৩০টি স্কুলে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন তাদের রথযাত্রা উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী “ফুড় ফর লাইফ” কর্মসূচির আড়ালে মুসলিম কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে হরে কৃষ্ণ হরে রাম, জয় শ্রী রাম নামজপ পাঠের মাধ্যমে দেবতার নামে উৎসর্গকৃত প্রসাদ খাদ্য বিতরণের প্রতিবাদে জেলার হাটহাজারীতে এক বিশাল প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদ সভা ও মিছিলের আয়োজন করে চট্টলার ঐতিহ্যবাহী সংগঠন “মুসলিম ছাত্র জনতা ঐক্য পরিষদ।

আজ (১৮ জুলাই) বাদ আছর অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা উগ্রবাদী সংস্থা ইসকনের আগ্রাসী সাম্প্রদায়িক কৃতিকর্মের নানা বর্ণনা দিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও বিষ্ময় প্রকাশ করেন। তারা চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলের মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ এবং হরে রাম হরে কৃষ্ণের নামজপের ঘটনাকে মুসলিম ধর্মের উপর মারাত্মক আঘাত বলে অবিহিত করেন।

.

ইসকনের এমন কাণ্ড সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্র বলে অবিহিত করে বক্তারা বলেন, ইসকনের উগ্রবাদী কর্মীরা হরে রাম হরে কৃষ্ণ বলে মন্দিরের প্রসাদ বিতরণ করে ভিডিওর মাধ্যমে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। তাদের এহেন কাণ্ডে মুসলমানদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। আমরা এই উগ্রবাদী সংগঠনটিকে এমন কৃতকর্মের জন্য জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এ আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে।

সমাবেশ থেকে প্রসাদ ভোগী স্কুল ছাত্রদের জমজমের পানি ও খেজুর খাওয়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও এক ধর্মের শিশুকে অন্য ধর্মের আচার চাপিয়ে দেয়া সাংবিধানিক অপরাধ দাবি করে এর কঠোর বিচার দাবি করেছেন তারা।

মাওলানা কামরুল ইসলাম কাছেমী ও মুফতী মাসউদু রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রতিবাদি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সভার আহবায়ক মাওলানা এমরান সিকদার। প্রধান অতিথি ছিলেন হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা মুমতাজুল করিম (বাবা হুজুর)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা মীর মুহাম্মদ ইদ্রিস।

.

বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব আহসানুল্লাহ, মাওলানা নাসিম, নুর মুহাম্মদ, মাওলানা হাফেজ আব্দুল মাবুদ, মাওলানা মহিউদ্দিন, মাওলানা আসাদ প্রমুখ।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, নব্বই ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত দেশে আমরা চাই সকল ধর্মের মানুষ এখানে সম্প্রীতি বজায় রেখে সহাবস্থান করুক। কিন্তু কিছু উগ্রবাদি হিন্দু বিভিন্ন সময়ে উস্কানীমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে সেই পরিবেশ নষ্ট করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এর পরিণতি ভয়াবহ হয়ে দেখা দিতে পারে। দেশ ও জাতির কল্যাণের কথা চিন্তা করে সরকারের উচিত এখনই এই ইসকন গোষ্ঠির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ভারতে মুসলিম নির্যাতন ও হত্যারও তীব্র প্রতিবাদ করা হয়। ভারতে মুসলমানদের নাগরিক অধিকার আদায়ে বিশ্ববাসীকে সচেষ্ট হতে আহবান করেন বক্তারা। জয় শ্রীরাম বলতে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে যে অমানবিক কাণ্ড করেছে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদিরা, তা বিশ্বের যে কোন শান্তিকামী মানুষকে মর্মাহত করেছে। কিন্তু ভারত সরকার এমন কাণ্ড প্রতিরোধে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি।

বক্তারা আরো দাবি করেন, বিজেপি এবার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেদেশে মুসলমানদের উপর নির্যাতনের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই এর পতন চান তারা।

প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে ইসকনের ইসলাম অবমাননা, আগ্রাসী সাম্প্রদায়িকতা এবং ইসলাম ও দেশবিরোধী বহুবিদ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মুহূর্মুহূ স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিলটি হাটহাজারী ডাকবাংলো চত্বর হতে শুরু হয়ে বাসস্ট্যান্ড মোড়, হাটহাজারী কলেজ গেট হয়ে পুনরায় ডাক বাংলো চত্বরে এসে শেষ হয়।

৫ মন্তব্য
  1. Alee Mansur বলেছেন

    ইসকন এর জন্মই হয়েছে মুসলমান এর আক্বিদা নষ্ট করার জন্যে। বাংলাদেশে এদের সংগঠন উগ্রপন্থী হিসেবে ব্যান করা হোক। নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হোক। এটা সরকারের উপর ডিফেন্ড করবে।

  2. S M Farukhi Azam বলেছেন

    কোথায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত ও ইসলামি ছাত্রসেনা?

  3. MD Alamin বলেছেন

    সময়মত সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।

  4. Sagar Kamal বলেছেন

    উগ্র হিন্দুত্ববাদ, উগ্র মুসলমানবাদ বা আগ্রাবাদ,
    সব শালাদের পাছায় বাঁশ যোগাতে হবে। সব খানকির পোলারা এক। ধার্মিক শালাদের কোন চরিত্র নেই। এই পর্যন্ত একটা ধার্মিককেও আমি দেখি নাই চরিত্রবান হতে। শালারা ভয়ে আর হুরের লোভে ধর্ম পালন করে।

    1. Sohel Sobhan বলেছেন

      Sagar Kamal কি হাইও!?